প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকে কিছু না কিছু গুন। কখনো তা প্রকাশ পেয়ে যায় কখনো গোপনই থেকে যায়। সেই গুনকেই এবার খুঁজতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম একটি সেরা পুজো ক্লাব। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে পুজোর আড্ডা @ জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোসপুকুর শীতলামন্দির ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শ্রী সুজিত বর্মন। সঞ্চালক রাহুলের সাথে আড্ডার ছলে তিনি জানালেন ছোট একটি ঠাকুরের মন্দির থেকে কিভাবে তৈরী হলো বোসপুকুর শীতলামন্দির। ছোট একটি মন্দিরেই প্রথম একচালা ঠাকুর এনে ঘরোয়াভাবে দুর্গাপূজা শুরু করে ক্লাবের কিছু সদস্য। ১৯৯৬ সালে প্রথম বড় পুজো করার কথা মাথায় আসে তাদের।
সেই থেকেই শুরু। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। কলকাতা শহর যখন থিম সম্পর্কে অল্প অল্প জানতে শুরু করেছে সেইসময় থেকেই থিমপুজোর হাত ধরেছে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্লাব। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৭৩ তম বর্ষে পদার্পন করে এই ক্লাবের এবছরের থিম 'খুঁজে দেখো'। তারা জানালেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে কিছু না কিছু গুন্। সেই গুনকে সকলের সামনে তুলে ধরাই একমাত্র লক্ষ্য এই ক্লাবের। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত বড় একটি পুজো হওয়ার কারণে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকটিতেও খেয়াল রাখতে হয় তাদের। ভিড় সামলানোর জন্য প্রশাসনের প্রতিনিধি ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থাকে ক্লাবের নিজস্ব গার্ড। এছাড়াও সেফটির জন্য অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সবটাই থাকছে মণ্ডপ সংলগ্ন অঞ্চলে। জানা গেছে, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রচুর বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের নিয়ে আসেন পুজো দেখানোর উদ্দেশ্যে।
তারাও যাতে বিনাবাধায় ঠাকুর দেখতে পান তার জন্য সদাসচেষ্ট এই ক্লাব। মহালয়ার পরের দিন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধনের পরেই খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবমীর দিন মায়ের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। এই ক্লাবটি প্রতিবছর নতুন কিছু উপহার দেয় শহরবাসীকে। তাই এইবছর তাদের ঝুলিতে ঠিক কি রয়েছে জানতে গেলে পৌঁছে যেতেই হবে বোসপুকুর শীতলামন্দির ক্লাবের পুজো প্রাঙ্গনে। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে কালিঘাট মেট্রো, সেখান থেকে বাস বা অটো ধরে কসবা-র নিকট এই পূজা মন্ডপ।