আসছে বর্ণ পরিচয়

সম্প্রতি 'বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিতর্ক' রাজ্য রাজনীতিতে তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে তুমুল আলোড়ন ফেলেছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্য সরকার একটি নতুন ভাবনা ভেবেছে। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যাসাগর প্রণীত বর্ণপরিচয় চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে। বর্তমানে প্রাক প্রাথমিকে তিনটি বই রয়েছে। বিহান, কাটুম-কুটুম এবং মজারু। এগুলির মধ্যে 'মজারু' হচ্ছে বাচ্চাদের শব্দের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য। বইটিতে যে শব্দগুলো রয়েছে, সেগুলি শিক্ষকেরা মুখে মুখে বলবেন, বাচ্চারা শুনে শুনে সেই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবে। কাটুম-কুটুম বইটির মাধ্যমে বাচ্চারা ছবি আঁকা, রং করার পাশাপাশি ছবির সঙ্গে পরিচয়ের মোট বিষয় শিখতে পারবে। শব্দ, রং-এর সঙ্গে বর্ণ যোগ করলে সম্পূর্ণ শিক্ষার বৃত্তটা পূর্ণ হবে বলে মনে করছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। প্রথম শ্রেণীতে অবশ্য সহজ পাঠ রয়েছে।

      প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের আধিকারিকরা বলছেন, বিষয় এবং সিলেবাস ঠিক করবে সিলেবাস কমিটি। সেটা সম্পূর্ণ হয়ে শিক্ষা পরিষদের আধিকারিকদের কাছে এলে তারপরেই এই সংক্রান্ত কিছু জানানো যাবে। সাম্প্রতিক মূর্তি ভাঙার ঘটনা ছাড়াও এ বছর বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকী। এই দুই বিষয়ে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেই এই  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা। ২০১২ সালের পর থেকে সিলেবাস কমিটি বিভিন্ন শ্রেণীর সিলেবাস ঠিক করছে। তাহলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি হল কেন সরকারের এই নিয়েও বিভিন্ন শিক্ষামহলে প্রশ্ন উঠছে। তবে দফতরের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্য সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিচ্ছে, তার মধ্যে এই প্রকল্পটাও অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজেও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বেশ কিছু কর্সূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সিলেবাস তৈরী হয়ে গেলে তা নিয়ে কোনো রকম বিরোধিতার প্রশ্ন আসবেনা বলেই মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা। সিলেবাস কমিটি এবং শিক্ষা দফতর আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেআশা করা হচ্ছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই হয়ত চালু হয়ে যাবে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে বর্ণ পরিচয় পড়ানো।

      

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...