বিনামূল্যের বইমেলা
চলতি মাসের ২৮ এবং ২৯ মার্চ শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক ভিন্ন রীতির বই মেলা।
বই পছন্দ হলে, হাতে তুলে নিন। সেখানেই পড়তে পারেন। আবার নিয়ে যেতে পারেন বাড়িতেও- সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
সন্তোষপুর লেক পল্লীর মাঠের পাশ ঘেঁসেই গিয়েছে রাস্তা।সেখানেই অজস্র বই নিয়ে সেজে উঠবে এই অভিনব উদ্যোগ।খোলা থাকবে সর্বসাধারণের জন্য।
কানাডার টরোণ্টো –র পর সরাসরি আনন্দের শহরে হতে চলেছে এমন এক বই মেলা।আয়োজনে মৃত্তিকা; সহযোগিতায় কথাকলি ও আমাদের যাদবপুর নামের দুই প্রতিষ্ঠান।
গল্পের বই থেকে পড়ার বই। বাদ পড়েনি কিছুই। যদিও সংগ্রহে গল্পের বইই তুলনামূলক বেশি। ইতিমধ্যে জমা হয়েছে প্রায় এক হাজার বই।রয়েছে রবীন্দ্র রচনাবলীও।
মৃত্তিকা মূলত মহিলা পরিচালিত একটি সংগঠন। রয়েছেন বারো জন সদস্যা। নতুন কিছু করার তাগিদেই এই আয়োজনের আত্মপ্রকাশ।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকেই বিপুল পরিমানে সাড়া মেলে। প্রাথমিক পর্যায়ের বই সংগ্রহ শুরু সেখানেই। আসে ডিগ্রি স্তরের বইও।
গল্পের বই পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা না থাকলেও স্কুল স্তরের কোনও বই নেওয়া হবে না।একজন তিনটের বেশি বই বাড়িতে নিতে পারবেননা।
শিশু কিশোরদের আরও সংকলন পেতে আগ্রহী তারা। বিশেষত সেই সকল অমৃত পাঠ্য যা আজকের শিশুরা বিস্মৃতির আড়ালে সরিয়ে রেখেছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ এইভাবে তাদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাবে- তা কল্পনারও অতীত। এমনকি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় নিজের সংগ্রহের ৬৫ টি বই তুলে দিয়েছেন উদ্যোক্তাদের হাতে।
যে সকল বই আজ ধুলো ও পোকামাকড়ের বাস; যা পাঠকের ছোঁয়া ভুলতে বসেছে, সেই সমস্ত বইয়ের পুনর্জীবন আবারও সম্ভব হয়েছে এই নয়া প্রয়াসে। তাই পাঠক-পাঠিকারা এগিয়ে আসুন আর হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিন নতুন পাঠকদের।
মেতে উঠুন বই-বাহিক সম্পর্কের স্নিধ আনন্দে ।গড়ে উঠুক বই-মিতালী।