বাঙালি খেতে ভালবাসে। পরকে আপন করতে, দূরকে নিকট করতেও তার জুড়ি মেলা ভার। ঘরের তো বটেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারদাবার নিয়েও নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চার করে বাঙালি। বিশ্বের খাদ্যরসিকদের খাছে এটাই তাদের পরিচয়। খাবারের রাজত্বে শক, হুন, মুঘল, পাঠান, ব্রিটিশ, চীনা, ফরাসী, ওলন্দাজ সবাই হয়ে উঠেছে আপন। বহু বছর ধরে চলছে মহানগরীর সেই ট্র্যাডিশন।
সেই ট্র্যাডিশনের হাত ধরেই নতুন স্বাদের রোমাঞ্চে উৎসবের মরসুমকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে হাজির "বন ফেমে" (BONNE FEMME)। গড়িয়াহাট মোড়ের কাছেই এই মাল্টি কুইজিন রেস্তোরাঁয় পাবেন ওয়ার্ল্ড কুইজিনের স্বাদ।
দক্ষিণ কলকাতার এই রেস্তোরাঁয় গ্লোবাল কুইজিনের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটেছে ভারতীয় ও বাঙালি খাবারের। যেমন ধরুন, বাঙালি মাত্রই বিরিয়ানিতে আলু আর ডিম খুঁজবেই। বিরিয়ানি চিকেন বা মাটন যাই হোক না কেন, ডিম আর আলু ছাড়া বিরিয়ানি তারা ভাবতেই পারে না। এই রেস্তোরাঁর হেঁশেলে বিরিয়ানির ডিমে মিশেছে আমাজন চিজ! কী ভাবছেন বিরিয়ানির সঙ্গে চিজ- জমবে কি না? একবার চেখেই দেখুন না! এখানকার মাস্টার শেফ দিচ্ছেন টেস্টের গ্যারেন্টি!
"বন ফেমে"-এর হেঁশেল যন্তরমন্তর ঘরের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। নানা রকম পদ নিয়ে নিরন্তর চলছে ফিউশন ফুডের অবাক করা এক্সপেরিমেন্ট।
এপার বাংলা আর ওপার বাংলার প্রিয় চিতল মাছের মুইঠ্যা বাঙালি রান্নাঘরের ঐতিহ্যবাহী পদ। এখানে চিতল মুইঠ্যার ফিউশন ঘটেছে চাইনিজে। কাঁকড়া, চিংড়ি, ভেটকির ফিউশন ডিশের অপশনও আছে। কাঁকড়ার কুলচা খেয়েছেন কখনও? অভিনব এই কুলচা পাবেন (BONNE FEMME-এ।
মুর্শিদাবাদী চিকেন কাটলেট, কুচো চিংড়ির ফিশ কচুরি, স্বরলিপি ফিশ-এর মতো নাম মেনু কার্ডে নজর কাড়বেই। স্টার্টার, মেইনকোর্স থেকে ডেজার্ট সব খানেই পাবেন এমন সব লোভনীয় নাম ।
উৎসবের মরসুমের জন্য আছে স্পেশ্যাল মেনু। পানীয়তেও চলেছে একই রকম এক্সপেরিমেন্ট। পাবেন গন্ধরাজের মোহিত। যা শুরুতেই ছক্কা হাঁকিয়ে জানান দেয় ভোজের আসরে সোনালী ইনিংসের সূচনা হতে চলেছে।