আজকের সমাজের উঁচুতলার মানুষেরা যখন নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত, স্বার্থপরতায় যখন জর্জরিত সমাজ, সেই সময় অতি সাধারণ নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি হয়ে বিরাট মনের পরিচয় দিলেন বর্ধমানের সঞ্চিতা কুন্ডু। পড়াশোনা শেখেননি সঞ্চিতা। অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং রান্নার কাজ করেন। বয়স তার ৭২ ছুঁয়েছে। টিভিতে অঙ্গদান করার খবর দেখে উৎসাহিত হন তিনি এবং নিজেও অঙ্গদান করার ব্যাপারে উৎসাহিত হন। কিন্তু এভাবে যে অঙ্গদান করা যায় না, তা তাকে বোঝান চিকিৎসকেরা। তারপর তিনি মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগে গিয়ে দেহদানের ইচ্ছের কথা জানান তিনি। ফর্ম পূরণ করে থানায় জমাও দেন। অঙ্গদান করা সম্ভব নয় শোনার তিনি দেহদান করার ব্যাপারে উৎসাহী হন। সারা জীবনে নিজের প্রাপ্তির ঝুলিতে কিছু না থাকলেও অপরের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেছেন তিনি। দেহদান করলে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের পড়াশোনার কাজে লাগবে জেনে তিনি দেহদান করতেই এগিয়ে আসেন। অঙ্গীকারের আবেদন গৃহীত হলে তার একটি কপি দেবেন তার বাড়িওয়ালাকে। তিনি জানান, তার মৃত্যুর পর তার দেহ যেন মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে দেওয়া হয়, সেটাই তার আর্জি। সঞ্চিতা কুন্ডুর বাড়িওয়ালা কমলা বেজ তার এই ইচ্ছে পূরণ করবেন বলে জানান।