অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, ধূমপান, মদ্যপান কর্কট রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে ব্লাডার ক্যানসার বা মূত্রশয়ের ক্যানসারে ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কারণে মূত্রাশয়ের ক্যানসার হয়ে থাকে। আর্সেনিকযুক্ত অশুদ্ধ জলপান, প্রস্রাবে সংক্রমণ থেকেও ব্লাডার ক্যানসার দেখা দিতে পারে।
ব্লাডার বা মূত্রাশয় আমাদের শরীরের নিম্নাংশে শ্রোণী বা পেলভিক অঞ্চলে অবস্থিত একটি ফাঁপা অঙ্গ যা আমাদের রেচনকার্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই ব্লাডার বা মূত্রশয়ে সাধারণতঃ মূত্র জমা হয় এবং এর পেশীগুলি আমাদের মূত্রত্যাগের পরিমাণ ও প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ করে।
মূত্রাশয় আক্রান্ত হলে মূত্রাশয় বা ব্লাডারের মধ্যে লাইনিংয় কোষ প্রথমে আক্রান্ত হয়। তারপর সেই কোষের বৃদ্ধি ঘটে। ক্রমশঃ তা টিউমারে পরিণত হয়। বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্র নির্গমনে সমস্যা, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতের সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্ত লক্ষণকে মূত্র সংক্রমণের প্রাথমিক পর্ব হিসেবে ধরা হলেও তা কর্কট সংকটের পূর্বাবস্থাও হতে পারে।
ব্লাডার ক্যানসার যা মূত্রথলির অভ্যন্তরে আবদ্ধ থাকে তাকে বলা হয় নন-মাসেল-ইনভেনিস ব্লাডার ক্যানসার। সেই ক্যানসার যখন গভীরে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে মাসল-ইনভেসিভ ব্লাডার ক্যানসার বলে। মূত্রশয়ের অভ্যন্তরে থাকা কোষপ্রাচীর বা কোষের গায়ে যদি ক্যান্সার দেখা দেয়, তাকে ইউরোথিলিয়াল কারসিনোমা বলা হয়।
তলপেট ও কোমরের নীচের অংশে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা- এসবও ব্লাডার ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
ব্লাডার ক্যান্সারের চিকিৎসা
সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, ব্র্যাকিথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি-এর মাধ্যমে ব্লাডার ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই হাসপাতালের ওঙ্কোসার্জারি ডিপার্টমেন্ট ব্লাডার ক্যানসারের চিকিৎসায় উল্লেখ করছে। এখানে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। চিকিৎসা এবং যোগ সংক্রান্ত তথ্য মেলে সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।