বাংলা সাহিত্যে বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রয়ীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়|’হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ হোক বা ‘খাজান্চিবাবুর গল্প’ সবেতেই বাঙালি পাঠকের মন কেড়েছেন তিনি| যাঁর নামকরণের পিছনেও ছিল অনেকটা ইতিহাস| জানা যায় লেখক জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক জমিদার পরিবারে যেখানে নিত্য মাতৃ আরাধনার চলতো| ১৮৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম জেলার লাভপুরে জন্ম লেখকের| প্রথম পর্বের পড়াশুনা লাভপুরেই শেষ করে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স ও পরবর্তীকালে সাউথ সুবার্বন কলেজে পড়াশুনা শেষ করেন| সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াকালীনই তিনি রাজনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হয়ে পরেন| ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার দরুন গ্রেপ্তার হলেও ১৯৩০য়ে মুক্তি পান তিনি| এরপর তিনি সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন| ১৯৩২য়ে তিনি প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করেন| সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন| তাঁর লেখায় ঘুরে ফিরে এসেছে বাগদি, দুলে, ডোম ও বাংলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত জায়গার আদিবাসীদের জীবনযাত্রার কথা| তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ ও আত্মজীবনী| ১৯৩২য়ে তাঁর ‘চৈতালি ঘূর্ণি’ প্রকাশ পায়| তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা ধাত্রীদেবতা, গণদেবতা, জলসাঘর, ‘মস্কোতে কয়েকদিন’ প্রভৃতি| তাঁর ঝুলিতে ছিল বহু পুরস্কার| তাঁর জন্মদিনে জিও বাংলার পক্ষ থেকে রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা|