‘থ্রি বিলবোর্ড আউটসাইড এবিং, মিসৌরি(২০১৭)’-ছবিতে মিল্ডরেড হেইস নামের এক মহিলা তাঁর মেয়েকে খুনের প্রতিবাদে তিনটি বিলবোর্ডে দুঃসাহসী মেসেজ লিখে পাবলিক-অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই চরিত্রটির অভিনেত্রী ফ্রান্সিস ম্যাকডোরমান্ডও বেস্ট অ্যাকট্রেসের অস্কার অ্যাওয়ার্ড নিতে মঞ্চে এসে সমস্ত হলিউডকেই নাড়িয়ে দিলেন। জানালেন, বাইরে ‘মিলাব মিলিব’ বললেও, হলিউডের অন্দরে ব্ল্যাক বা ট্রান্সজেন্ডার ক্রু এবং অ্যাক্টররা একেবারেই হালে পানি পান না। আলোর তলায় বেশ অন্ধকার! সেই অন্ধকার কাটাতেই, পুরস্কার হাতে নিয়ে কোন ভাবের কথা না-বলে ফ্রান্সিস সরাসরি সমস্ত লিডিং আর্টিস্টদের ‘ইনক্লুশন রাইডার’-কে হাতিয়ার করার ডাক দিলেন। এটা আর্টিস্টদের কনট্রাক্ট পেপারের একটা ক্লজ। চাইলে এর সাহায্যে প্রোডিউসারকে তাঁর ছবিতে সমান রেশিওতে হোয়াইট, ব্ল্যাক ও ট্রান্সজেন্ডার আর্টিস্ট এবং ক্রু নিতে বাধ্য করা যাবে। গণআন্দোলনের এই ডাকে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে হলিউডের ভেতরে ও বাইরে। অস্কারের মঞ্চে এমন রামধাক্কা আগে কেউ দেবার সাহস করেননি!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু করে সেক্সুয়াল হ্যারাসড মহিলাদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন তারানা বার্ক। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অ্যালিজা মিলানো, গ্যানেথ পাল্ট্রো, অ্যাসলে জুড, জেনিফার লরেন্স ও উমা থুরমানেরা। এ-আন্দোলনের ধাক্কায় প্রোডিউসার হার্ভে উইন্সটন জোর কেস খেয়েছেন। তিরিশ বছরের কেরিয়ারে আশিটি মেয়ের ওপর রেপ ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ এসেছে তাঁর ওপর। এ-ধাক্কাতেই ইনি নিজের কোম্পানি এবং অস্কার-সমিতি থেকে অর্ধচন্দ্র খেয়ে বিতাড়িত হয়েছেন। এবারের অস্কার স্পষ্ট করে দিল, সে-দেশেও ‘কারা’ আছে। কিন্তু, ‘ঝড় উঠছে, কারা টুটছে’!