এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে মেয়েদের সঙ্গে ঘটে চলা অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। আইন-পুলিশ-প্রশাসন করেও কিছুতেই আটকানো সম্ভব হচ্ছে না এইসব জঘন্য অপরাধ। তাই হতে হবে আরও সচেতন, এবং মেয়েদের নিজেদের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে তাঁদেরকেও নিতে হবে। পথে-ঘাটে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মনের জোর বাড়াতে হবে। সব সংকোচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে।
তাই তো তাই একটু অন্য পথে হেঁটে, একটু অন্যরকমভাবে ভেবে নারী সুরক্ষায় কিছু সুরাহা খোঁজার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে বিধাননগর কমিশনারেট। মেয়েদের সুরক্ষা যাতে তাঁরা নিজেরেই করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট। রাস্তায় বিপদের মোকাবিলায় মেয়েরা কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই সুকন্যা’র (আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ) ব্যবস্থা করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।
এবার মহিলাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে আয়োজিত হতে চলেছে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় সব এলাকার, যে কোনও বয়সের মেয়েরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানা গেছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন যে- অনেকেই রাস্তাঘাটে ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েও চুপচাপ বাড়ি চলে আসেন। প্রতিবাদ তো দূরের কথা, পুলিশের কাছে যাওয়ারও সাহস দেখান না। মেয়েরা যাতে ভয় এবং কুণ্ঠাবোধ কাটিয়ে এই ধরনের অভ্যেস ছেড়ে বার হয়ে আসতে সক্ষম হন, আত্মরক্ষায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
মেয়েদের জন্য আয়োজিত এই দৌড় প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুকন্যা রান’। সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিধাননগর কমিশনারেটের সদর দপ্তর থেকে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগ রাখা হয়েছে। প্রথম বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কমিশনারেট অফিস থেকে করুণাময়ী হয়ে ইকো পার্ক পর্যন্ত দৌড়তে হবে। ওই পথের দুরত্ব ২১ কিমি। অন্যদিকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়তে হবে দ্বিতীয় বিভাগের জন্য। আর যাঁরা এই বড় দূরত্ব পর্যন্ত দৌড়তে আগ্রহী নন, তাঁদের জন্য ৫ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড়ের প্রতিযোগিতাও রাখা হয়েছে। কমিশনারেটের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।