সাজানো গোছানো ছিমছাম পরিবেশ আর প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা, চিত্রটা এমনই সল্টলেক বাসিন্দাদের কাছে। এ জন্যেই প্রবীণ নাগরিকদের কাছে থাকবার জায়গা হিসেবে সল্টলেক বেশ মনোরম বাসস্থান। সল্টলেকের প্রবীণদের পাশে থাকতে এ বার দুটি টহলদারি গাড়ি চালু করার সিদ্ধান্ত নিল বিধাননগর কমিশনারেট।
টহলদারি দুটি গাড়ি টহল দেবে সল্টলেকের পূর্ব -উত্তর-দক্ষিণ থানা এলাকার বাড়ি গুলোতে। টহল গাড়িতে উপস্থিত থাকবেন ৪ জন অফিসার যারা সকালে এবং সন্ধ্যা বেলা দুই বার গাড়ির টহল দেবার সময় দায়িত্বে থাকবেন। বিধান নগর পুলিশের উদ্যোগে টহলদারি গাড়ির উদ্দেশ্য হবে সিনিয়র সিটিজেনদের ওপর লক্ষ্য রাখা। এক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে মানসিক একাকিত্বের দিকেও নজর দেবে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড প্রবীণ নাগরিকদের বিশ্রাম এবং বসবার স্থান তৈরীর জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে রেখেছে।
বিধান নগর পুলিশের উদ্যোগে সল্টলেক এলাকায়, ইতিমধ্যেই প্রবীণ নিবাসীদের জন্য সাঁঝবাতি নাম একটি প্রকল্প রয়েছে। ছয় বছর আগে থেকে এই প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছিল বিধান নগর পুলিশ। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি থানায় রয়েছেন একজন করে নোডাল অফিসার যাদের কাজ, প্রবীণ নাগরিকদের দেখাশোনা করা। তবে যাতায়াতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায়, নোডাল অফিসাররা এতদিন প্রবীণ নাগরিকদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখার দায়িত্ব পালন করতে যেতে পারননি। এই কথা মাথায় রেখেই শুধু প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করা হচ্ছে দুটি নতুন গাড়ি।
শুধুমাত্র প্রবীণদের নিয়মিত খবরাখবর রাখার প্রয়োজনে রাখা হবে দুইটি গাড়ি বলে জানিয়েছেন কমিশনারেটের পক্ষে গোয়েন্দা প্রধান আভারু রবীন্দ্রনাথ। পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন হলে এখানকার প্রবীণেরা আরো নির্ভয়ে, একাকিত্ব দূরে সরিয়ে বাঁচতে পারবেন বলে আশা রাখছেন গোয়েন্দা প্রধান। শিশুদের জন্য যেমন পার্কের প্রয়োজন তেমনি বয়স্কদের জন্য প্রয়োজন বিশ্রামের নির্দিষ্ট স্থান। এই উদ্দেশ্যেই প্রবীণদের বসবার ব্যবস্থা তৈরির অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মজুমদার।