গঙ্গায় ফিরছে ভোপাল

যাত্রীবাহী জলযান হিসেবে এককালে বেশ খ্যাতি ছিল তার। এই যানটি দেখতে খানিকটা জাহাজের মতো হলেও জাহাজের থেকে আকারে বেশ ছোট এটি। কথা হচ্ছে প্যাডেল স্টিমারের। যা বর্তমানে অবলুপ্তির পথে। জানা গেছে, গোটা পৃথিবীতে এই জাতীয় প্যাডেল স্টিমারের সংখ্যা মাত্র ৫। এর মধ্যে একটি রয়েছে খাস কলকাতায়। নাম 'ভোপাল'

উনিশ শতকের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নদীপথে পণ্য পরিবহনের জন্য এইজাতীয় ছোট জলযানের ব্যবহার ছিল। বিশ্বের প্রথম প্যাডেল স্টিমার যে জলপথে নেমেছিল তা ছিল মিসিসিপি নদীতে। বাষ্পচালিত ইঞ্জিন এবং বড় বড় দুটি প্যাডেলের সাহায্যে স্রোতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলতো এই প্যাডেল স্টিমার। ভারতের এই প্যাডেল স্টিমারটি তৈরী হয়েছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালে। জানা গেছে, এই প্যাডেল স্টিমারটি লম্বায় ২০৫ ফুট আর চওড়ায় ৮ ফুট।

কলকাতার এগিয়ে চলার সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে গঙ্গার বুকে ভেসে থাকা এই স্টিমারটি। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই অচল হয়েছে এই যানটি। বর্তমানে কলকাতা বন্দরে পড়েই রয়েছে এই স্টিমারটি। কিন্তু এই যানটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা চিন্তা করে ভোপালকে আবারও জলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। ২০২০ সালের মধ্যেই গঙ্গার বুকে একটি প্রমোদতরী হিসেবে ভাসতে দেখা যাবে ভোপালকে। ২০১০ সালে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই উপহারটি তারা দিতে চলেছে শহরবাসীকে।

অন্য প্রমোদতরির মতো সব ব্যবস্থাই থাকছে ভোপালে। তাই গঙ্গায় ঘুরে বেড়ানোর সাথে সাথে বিনোদনের জন্য খাওয়া দাওয়া ও আড্ডার আয়োজনও থাকবে ভোপালে। বাংলার পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গঙ্গার বুকে ফিরতে চলেছে ভোপাল। ভোপাল আবার জলে নামলে কলকাতার ঐতিহ্য যে এক নতুন মাত্রা পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...