“ঢাকের তালে পড়বে কাঠি
তাই অস্থির এই মন,
মা আসছে মোদের ঘরে।
অপেক্ষায় দিনজ্ঞাপন।“
বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ জানান দিচ্ছে আর বেশি দিন বাকি নেই, মায়ের আগমণের। তাই প্রত্যেক পুজো প্যান্ডেলে চলছে শেষ মূহুর্তের কাজ। আর এত ব্যাস্ততার মধ্যেও, জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর অবসর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চঞ্চল ঘোষ, মহিলা সম্পাদক সবরী নাগ দাস, ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ঘোষ। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও। ১৯৫১ সালে শুরু হয়েছিল তাদের পুজোর পথচলা। আর তখন থিম পুজোর এত জাঁকজমক ছিল না বলে, স্বভাবতই সাবেকী পুজোয় করে এসেছে তারা। ২০০০ সালে, সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে তাদের প্রথম থিমে প্রবেশ, তার পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় এতটাই বেড়ে যায়, আর সকলেই যখন থিমের কদর করা শুরু করে, তারপর থেকে আর সাবেকীআনায় ফিরে যান নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে শুরু হল তাদের থিম পুজোর পথচলা। এইবছর ৬৯ তম বর্ষে তাদের থিম ‘বন্ধন’।
থিম শিল্পী সুব্রত ব্যানার্জী-র ভাবনায় তিলে তিলে ফুটে উঠছে ভবানীপুরের এই ক্লাবের পূজা মন্ডপ। তৃতীয়ায় উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে তাদের পথচলা। পুজোর তিন দিন যথা – সপ্তমি, অষ্টমী ও নবমী, পূজা কমিটির তরফ থেকে একটি ভোগ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে নবমীর আয়োজনে, অংশগ্রহন করতে পারবেন সকল দর্শনার্থী। পুজোর কটা দিন বেশ আনন্দেই কাটে সকল পল্লীবাসীর।