পুরাণ মতে ব্রহ্মার বর পেয়ে অজেয় হয়ে ওঠা অসুর সম্রাট মহিষাষুর দেবলোক আক্রমণ করে বসে, ফলে দেবলোকের অধিকার হারিয়ে দেবতারা স্মরণাপন্ন হয় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের। দেবতাদের এই করুণ অবস্থা দেখে নিজেদের দৈবশক্তির সাহায্য সৃষ্টি করেন দশভুজার। যিনি মহিষাসুরকে বধ করে দেবলোকের অধিকার ফিরিয়ে দেয় দেবতাদের। সেই দিন থেকে মহিষাসুর মর্দিনি রুপে পুজিত হয়ে আসছেন দুর্গা। প্রাথমিক ভাবে সাবেকি পুজো শুরু করলেও, কালের অগ্রগতীর সাথে সাথে শ্রেষ্ঠ পুজোর দৌড়ে টিকে থাকার জন্য সাবেকিআনা ছেড়ে থিমের পুজোয় প্রবেশ করেছে বহু পূজা কমিটি।
কিন্তু এমনও অনেক পুজো কমিটি আছে যারা আজও মা-কে সাবেকি রুপে আরাধনা করে আসছেন। তাদের মধ্যে একটি পুজো কমিটি হল ভবানীপুর ৭৬ পল্লী, যারা ৫২ বছর ধরে সাবেকি পুজোই করে আসছেন। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর ৭৬ পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা।
উপস্থিত ছিলেন কমিটির দুই সম্পাদক অম্বর মুখার্জী ও জয়ন্ত কুমার দাস ও পুজো ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য স্নেহার্দো দাস। এবছর ৫৩তম বর্ষে পদার্পন করল, তাদের পুজো। পুজো ছাড়ার বছরভোর বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত থাকেন তারা, যেমন - স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ওযুধ বিতরণ ইত্যাদি।
অষ্টমীর দিন সকল পল্লীবাসী ও দর্শনার্থীদের জন্য মহাভোজের আয়োজন করা হয় পূজা কমিটির তরফ থেকে। দশমীতে সিদুঁর খেলা ও বরণের মধ্যে দিয়ে বিদায় জানানো হয় দশভুজাকে।