ওষুধ আমাদের জীবনে ম্যাজিকের মত কাজ করে| ডাক্তার যদি ভগবান হয় তাহলে মেডিসিন হলো আমাদের কাছে এই ভগবানের বরদান বা প্রসাদের মত| যখন আমরা কোনো শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত থাকি আমাদের মাথায় আসে কিভাবে সেই অসুখ থেকে আমরা মুক্তি পাবো|
বড় সমস্যা ছাড়া...কেউ কেউ তো আজ ছোট খাটো অসুখে যেমন জ্বর, সর্দি-কাসি, পেটে ব্যথার জন্য আলাদা করে ডাক্তার না দেখিয়ে সোজা ওষুধের দোকান থেকে গিয়ে মেডিসিন কিনে খেয়ে নেয়|
ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ তো কিনছেন, কিন্তু আপনি কি জানেন এক্ষেত্রে কি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
মেডিসিন যেমন আমাদের কাছে আশীর্বাদের ন্যায় তেমনি ‘ভুল ওষুধ’ আমাদের জীবনে বিষের ন্যায় কাজ করতে পারে| এবার ভুল ওষুধ কি তা জানাটা অত্যাবশ্যক...
প্রথমত, আমরা যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ কিনতে যাই, তাহলে ওষুধের দোকানের ফার্মাসিস্টরা তাদের ইচ্ছা মত মেডিসিন আমাদের দিতে পারে| বাজারে প্রতিদিন বহু মেডিসিন কোম্পানি লঞ্চ করে, অনেক সময় মেডিসিনের দোকানে এমআর অর্থাৎ মেডিসিন রেপ্রেসেন্টেটিভদের থেকে নেওয়া নতুন মেডিসিনগুলি আমাদের গছাতে পারে, যেটি আপনার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে| ভাবুন, আপনি সর্দির জন্য ক্রোসিন কিনতে গেছেন, কিন্তু দোকানদার অপনাকে বললো একটি নতুন মেডিসিন এসেছে যেটা ক্রোসিনের থেকেও ভালো| আপনি নিয়েও নিলেন| কিন্তু ওই মেডিসিনে কি কি রাসায়নিক পদার্থ আছে তা আপনি জানেন না, জানার কথাও না| তাই সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতই এগোনো উচিত|
দ্বিতীয়ত, মেডিসিনটি যেন ব্যাক ডেটেড না হয় বা মেয়াদ পেরিয়ে না যায়| অর্থাৎ প্রত্যেকটি মেডিসিনের গায়ে দেওয়া থাকে একটি মেয়াদী পিরিয়ড| ওই সময়ের ভিতরে মেডিসিনটি খাওয়া উচিত, সময় সীমা পেরিয়ে গেলে তার মধ্যে নানা রকম রাসায়নিক ক্রিয়া হয় যার ফলে সেটি বিষাক্ত হতে পারে|
তৃতীয়ত, যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া কোনো ওষুধ প্যাকেট খোলার পর রং বদলে যায় তাহলে বুঝবেন ওষুধটি ভালো নেই আর, খারাপ হয়ে গেছে, সেটা বর্জন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে|
আরেকটা কথা মাথায় রাখতে হবে, ওষুধের প্যাকেট কাটা বা সীল খোলার পর ওষুধ আর বেশিদিন কার্যকরী থাকে না|