কদিন অন্তর পেটের সমস্যা? গ্যাস অম্বলের জ্বালায় জেরবার? তাহলে সময় এসে গেছে ডিনারের সময় ও খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনার| খাদ্যতালিকায় একটু পরিবর্তনই শরীর থেকে দূর করে দিতে পারে নানা রোগ| গ্যাস-অম্বল জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য রাতে খাওয়ার সময় অনেকটাই এগিয়ে আনা দরকার| ডাক্তারদের কথা মত রাত ৮টার মধ্যে অবশ্যই রাতের খাওয়া সম্পন্ন করা উচিত| এরপর হালকা হাঁটাহাঁটির পরই শুতে যাওয়া উচিত|
বর্তমান যুগে শরীরে স্থুলতা আনতে কেউই চায়না কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিনা চেষ্টাতেই শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। তাহলে উপায়? পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে কিরকম ধরনের খাবার খেলে শরীর থেকে মেদের আধিক্য কমতে পারে| চলুন আজ সেটাই জানা যাক|
জানা গেছে, মুগ ডালের তৈরী ইডলিতে প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকার কারণে রাতে খাওয়ার জন্য এই খাবার খুবই উপকারী| এই খাদ্যটি খুব হালকা হওয়ার কারণে হজমও হয় খুব শীঘ্রই|
অন্য একট উপকারী খাবার হল, ভাত ও ডাল| অনেকেই বলে থাকেন রাতে ভাত খেলে মেদ জমতে পারে| কিন্তু এটি একেবারেই ভুল একটি ধারণা| ভাত ও ডাল দুটিতেই থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, এছাড়া রাতে শরীরের পক্ষে হজম করাও বেশ সহজ এই খাবার| ভাত ও ডালে থাকা উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ঘুম আনতেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে|
রাতে যদি কখনও ডিম খেতে ইচ্ছে করে তাহলে সেদিন আর ভাত ডাল খাবেন না কারণ ডিমেই অত্যন্ত বেশি পরিমানে প্রোটিন থাকে তাই ডিমের ভাজার সাথে সবজি মিশিয়ে একধরনের ভাজা করে খেতে পারেন এতে পরিমানেও বাড়বে আর হজমেও অসুবিধা হবে না|
মাঝে-মধ্যে রাতে মাংস খেলেও ক্ষতি নেই| সেই ক্ষেত্রেও সেদিন ভাত ও রুটি না খাওয়াই ভালো| চিকেন স্যালাড খেতে পারেন তার বদলে|
বাঙালি অথচ মাছ খাবেন না তা কি হয়? বাঙালিদের রাতেও মাছের সাথে ভাত চাই| কিন্তু এরকম করলে শরীরের মেদ কমবে কি করে? উল্টে বেড়ে যাবে তো| নেহাত যদি রাতে মাছ খেতে ইচ্ছেই হয় তাহলে গ্রিলড ফিশ খেতে পারেন| গ্যাস অম্বলের সমস্যা থাকলে কখনই রাতে মাছ ও ভাত একসাথে খাওয়া উচিত নয়|
জেনে নিলেন রাতের খাবারে কতটা কি পরিবর্তন আনলে শরীরও সুস্থ থাকবে এবং শরীরে মেদও জমবে না। তাহলে আর চিন্তা কিসের? আজ থেকেই ফলো করুন এই বিশেষ টিপসগুলি। আর থাকুন একেবারে ফিট।