বাঙালীদের কাছে বাংলার শিল্প থেকে শুরু করে পোশাক, সংস্কৃতি, খাওয়া-দাওয়া সব কিছু নিয়েই তাঁরা গর্বিত। সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে একটা আলাদা ঐতিহ্য।
তেমনি বাংলার মেয়েদের কাছে শাড়ি হচ্ছে একটা গর্ব। সেই সকল শাড়িপ্রেমী বাঙালীদের জন্য রয়েছে এক বিরাট সুখবর। বছরের শুরুতেই আসে সেই খবর। জানা গিয়েছে যে এবার বাংলার তিনটে শাড়ি পেল জিআই ত্যাগ। ফের বাংলায় জুড়ল এক নয়া পালক।
জানা গিয়েছে যে নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল শাড়ি, মুর্শিদাবাদ কোরিয়াল এবং বীরভূমের গরদকে দেওয়া হয়েছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগ।
আজ জেনে নেওয়া যাক এই শাড়িগুলির বিষয়ে।
প্রথমেই আসা যাক টাঙ্গাইল শাড়ি। জানা গিয়েছে যে এই শাড়ি প্রথম বোনা হয় বাংলাদেশে। তারপর উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে পশ্চিমবঙ্গে আসে সেই শাড়ি। অফ হোয়াইট কিংবা হালকা রঙের উপরেই বোনা হয় এই টাঙ্গাইল শাড়ি।
এরপর আসা যাক গরদ শাড়ি। বাঙালীদের ঐতিহ্য এই গরদ শাড়ি। এই শাড়ি সাধারণত লাল পাড় সাদা শাড়িতেই দেখা যায়। পুজো-পার্বণ থেকে শুরু করে যেকোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে বাঙালিরা এই লাল-সাদা শাড়ি পরেন। তবে, বর্তমানে এই লাল পাড় সাদা শাড়িতেও এসেছে অনেক ধরণের বৈচিত্র্য। এই গরদ শাড়ি বোনা হয় বীরভূম জেলাতে।
এবার আসা যাক তৃতীয় শাড়ি অর্থাৎ কোরিয়াল। বর্তমানে এই কোরিয়াল বেনারসি শাড়ি খুবই প্রচলিত। বোনা হয় মুর্শিদাবাদে। জানা যায় যে এই কোরিয়ালের আরও এক নাম হল মুর্শিদাবাদ শিল্ক। এক ধরণের স্টাইল রয়েছে এই শাড়িতে। সেই স্টাইলের নাম পাটলি পাল্লু, যেটার মানে কুঁচি আর বডির নকশা সম্পূর্ণ আলাদা।
চলতি বছরের শুরুতেই বঙ্গের পাঁচটি জিনিস জিআই ট্যাগের স্বীকৃতি পেয়েছে। গরদ, কোরিয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে সুন্দরবনের মধু এবং উত্তরবঙ্গের সুগন্ধি কালোনুনিয়া চাল।