‘অঙ্কের বই মানেই কে সি নাগ’

জবজবে করে তেল মাখানো এক খানা বাঁশ। সেই বাঁশ দিয়ে একটা বাঁদর উঠছে আবার নেমে যাচ্ছে। কতটা সে উঠল আর কতটা নামল এ নিয়ে সকলকেই হিমশিম খেতে হয়েছে কম বেশি। চাল-ডাল, জল, দুধ নিয়ে সে কী নাজেহাল কান্ড! বাপরে বাপ এ যে অঙ্কের ক্লাস!

কানমোলা, নীল ডাউন, বোর্ড আঁক কশার ডাক এলে মাথার মধ্যে দিনের বেলায় তারা চলকে ওঠে যে কত বুরুণদের তার ইয়ত্তা নেই!  ভারী রাগ হত  ‘নব গণিত’ –এর বইখানা দেখলে। ছুটির দিনে যেই একটি হাত পা মেলে টিভির তলায় ওমনি জ্যাঠামশাইয়ের ডাক, ‘যাও নিয়ে এসো কেসি নাগ’।  বাঙালি অভিভাবকের কাছে  ভরসার নাম।  আম বাঙালির ছোটবেলা আর গোটা কৈশোর আছেন ‘কেসি নাগ’। বাংলার অঙ্কের স্যার।

fa34ba42-478f-4873-85f6-b2d5073c4013

চোখে মোটা চশমা। বাঘের মতো চেহারা। হাতে বেতকাঠি। গলা শুনলেই বুক শুকিয়ে আসে। শুধু যেন ভুল ধরা কাজ। অঙ্ক না পারলেই কান মোলা ‘গার্জেন কল’। ‘অঙ্কের স্যার’ বললেই যে ছবি চোখে ভাসে ঠিক তেমনটা ছিলেন না ‘কে সি নাগ’, পুরো নামে কেশব চন্দ্র নাগ। কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর নাম দিয়েছিলেন গণিতশিল্পী।

মিত্র ইন্সটিটিউশনের প্রবাদপ্রতীম হেড মাস্টার মশাই। প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুল থেকে অবসর নিতে দেখেছিলেন সেই স্কুলেরই ছাত্র অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে লিখেছিলেন,  তাঁরই প্রেরণায় উপলব্ধি করলাম অঙ্ক কত সহজ অঙ্ক একটা ম্যাজিক অঙ্কের মধ্যেও সাহিত্য-শিল্প আছে।’

তাঁর প্রসঙ্গে আর এক ছাত্র সংগীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘অবাক হয়েছিলাম, যাঁকে দেখে ভয় হোত, কড়া ধাতের মানুষ বলে মনে হোত সেই কেশববাবু স্যারই যখন গান করার উৎসাহ দিতেন আমাকে’।

গুড়াপ সুরেন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের স্মারকগ্রন্থে লিখছেন অভিনেতা বিকাশ রায় ‘মোটা চশমার আড়ালে গম্ভীর মুখের ছায়ায় একজোড়া সহানুভূতি-ভরা চোখ আমরা দেখেছিলাম, আমরা ভাল কিছু করতে পারলে সেই চোখে উৎসাহ জ্বলে উঠতো, আমাদের দুষ্টুমি দেখে সেই চোখে মৃদু ভর্ৎসনার সঙ্গে সামান্য indulgence ফুটে উঠতো।’

আদতে ছিলেন হুগলী জেলার মানুষ। হুগলির গুড়াপের নাগপাড়ায় জন্ম। ১৮৯৩ সালের ১০ জুলাই। সেদিন ছিল রথ। রথের দিনে জন্ম বলে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল ‘কেশব চন্দ্র’।  বাবা রঘুনাথ নাগ রেখেছিলেন এই নাম। মা ক্ষীরোদাসুন্দরী।

বাবার ছিল কাঠের ব্যবসা। খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন কেশব। সন্তানদের নিয়ে একা লড়াইতে নামতে হয়েছিল ক্ষীরোদাসুন্দরীকে।

পড়াশোনা শুরু হল সেখানকার স্থানীয় এক স্কুলে। গুড়াপে অঞ্চলে তখন ওই একটিই স্কুল।  ক্লাস সেভেনে স্কুল বদলে করতে হল। বাড়ি থেকে প্রায় তিন মাইল দূরের ভাস্তাড়া যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।

সাত কিলোমিটার রাস্তা রোজ পথ পায়ে হেঁটে স্কুল পৌঁছাতেন। রোদ-জল-ঝড়েও কোনও কামাই নেই। অনেক সকালে স্কুলের জন্য বেরতে হত। বাড়ি যখন ফিরতেন তখন ঘরে ঘরে সাঁঝবাতি জলে উঠেছে। ছাত্র কিন্তু ক্লান্তিহীন।

ক্লাস নাইনে আবার এল স্কুল বদলের পালা। এবার ভর্তি হলেন কিষেণগঞ্জ হাইস্কুলে। ১৯১২ সালে ওই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করে রিপন কলেজে। এখন যার নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ভর্তি হন কেশব নাগ।

এবার শুরু কলকাতার জীবন। মেস বাড়িতে থাকতেন। বাড়িতে অনটন। অবস্থা সামলাতে কলেজের পর গৃহশিক্ষক হিসেবে ছাত্র পড়াতেন। পাশাপাশি চলছিল চাকরির চেষ্টা। যে ভাস্তাড়া যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে একদিন ছাত্র ছিলেন, সেখানেই পেলেন শিক্ষকতার চাকরি। থার্ড মাস্টারের পদ।

কিন্তু চাকরির ধরাবাঁধা খাতাবন্দি জীবন তাঁর ভাল লাগছিল না। ফিরতে চাইছিলেন মুক্ত জ্ঞান চর্চার জগতে। চাই আরও পড়াশোনা। তার জন্যি কিছুদিনের মধ্যে ছেড়ে দিলেন স্কুলের চাকরি। চাইছিলেন স্নাতক হতে। যে কোনও শাখায়। শেষ পর্যন্ত ১৯১৭ সালে অঙ্ক ও সংস্কৃত নিয়ে জোড়া বিএ পাশ করেন কেশবচন্দ্র।

তবে তাঁর যেন নিয়তি ছিল শিক্ষক জীবন। তাই আবার ডাক পেলেন স্কুল থেকে। অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন কিষেণগঞ্জ হাইস্কুলে। কিছুদিন শিক্ষকতা করলেন ওই স্কুলে তারপর বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুল।

তখন স্কুলের মাথায় ব্রিটিশ কর্তারা। কেশবচন্দ্রের ইন্টারভিউ হয়েছিল কলকাতায় গ্র্যান্ড হোটেলে। আত্মবিশ্বাসে টানটান শিক্ষকপদপ্রার্থী তরুণের মেধায় মুগ্ধ হয়েছিলেন সাহেবরা। স্কুলের ক্লাসঘরে বইল তার রেশ। হীরের দ্যুতি যেন ঠিকরে পড়তে শুরু করেছে।

কাশিম বাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী তাঁর ঘরের ছেলেদের গৃহশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন তাঁকে। তাঁর জন্য খুলে দিয়েছিলেন রাজবাড়ির বিশাল লাইব্রেরি। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস আর গণিতের চর্চায় ডুবে থাকতেন তিনি।

ছাত্র-অভিভাবকমহল আর বহরমপুরের গন্ডি ছাড়িয়ে মেধাবী অঙ্কের শিক্ষকের খ্যাতি পৌঁছল কলকাতায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি তখন মিত্র ইন্সটিটিউশন গড়ার জন্য হীরে খুঁজছেন। ডেকে পাঠালেন তরুণ শিক্ষক কেশবচন্দ্র নাগকে।

তাঁর ডাকে ভবানীপুরে মিত্র ইনস্টিটিউশনে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন। শুরু হল আর এক কলকাতা জীবন। এবারের ঠিকানা ভবানীপুরে ১২ নম্বর রসা রোডের মেসবাড়ি। স্যার আশুতোষের গুণমুগ্ধ ছিলেন। কেশবচন্দ্রকেও স্নেহ করতেন তিনি। স্নেহে মিশেছিল শ্রদ্ধাও। তাঁর পুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন কাছের বন্ধু। রাহজনীতির ডাক এসেছিল প্রিয় বন্ধুর থেকে। কিন্তু কেশবচন্দ্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেই ডাক। ক্লাসরুম আর অঙ্কের ঘোরের কাছে অন্য সব ডাক যে তুচ্ছ।

তবে আর ডাক জুড়েছিল তাঁর প্রাণ জুড়ে। মায়ের ডাক। এই মা সারদা মা। ১৯১৯ সালে মা সারদা দেবীর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন কেশব নাগ। মায়ের জপ করে দেওয়া মালা, কাপড়ের উপরে আলতা বুলিয়ে নেওয়া পদচিহ্ন ছিল তাঁর সম্পদ। প্রতিদিন ধ্যান আর জপ করতেন।

অঙ্ক তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল। স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন তাঁর সমস্ত অর্জিত মেধা।  রসা রোডের মেসে বসেই লিখে ফেললেন পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ‘নব পাটীগণিত’। কিন্তু তাঁর বই প্রকাষের কাহিনিটিও চমকে দেওয়ার মতো।

মিত্র স্কুলে তাঁর সহকর্মী ছিলেন কবিকঙ্কন কালিদাস রায়। তাঁর বাড়িতে  তাঁর বাড়িতে বসত সাহিত্যিকদের আড্ডা রসচক্র সাহিত্য সংসদ। আড্ডায় উপস্থিত থাকতেন বাংলা সাহিত্যের রথী-মহারথীরা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, জলধর সেন সে নেই! আডার নিয়মিত মুখ ছিলেন কেশবচন্দ্র। সাহিত্যিক পরিমন্ডলীর পরিসরে জল পায় অঙ্কের বই লেখার ভাবনা। শোনা যায়, শরৎচন্দ্রই নাকি তাঁকে প্রথম বলেন গণিতের বই লেখার কথা। তখন কেশবচন্দ্র শুরুতে সে ভাবনাকেখুব একটা প্রশ্রয় দেননি। পরে কালিদাস রায় তাঁকে বলেন ক্লাসে যেভাবে ছাত্রদের অঙ্ক করান সেভাবেই হোক না একটা পান্ডুলিপি। 

একটি বাঁধানো খাতায় লিখে রাখতেন জটিল অঙ্ক সহজ করার কৌশল। একদিন মেসের ঘরে আসেন  ক্যালকাটা বুক হাউসের পরেশচন্দ্র ভাওয়াল। কেশবচন্দ্র বোধহয় তখন কোন প্রয়োজনে বাইরে গেছেন। পরেশচন্দ্রের চোখ হঠাৎ গিয়ে পড়ল তেপায়ার ওপর। বেশ মোটা গোছের একটা বাঁধাই খাতা রাখা সেখানে।

প্রকাশকের জহুরির চোখ। কিছুটা কৌতুহলেই উল্টেপাল্টে দেখতে  গেলেন খাতাখানা। কয়েক পাতা উল্টেই একেবারে বনবনিয়ে উঠল মাথা! এ খাতা তো খাতা নয়, এত রত্ন খনি! পাতায় পাতায় লেখা অঙ্কের ধাঁধা সমাধানের কৌশল। আছে অঙ্কের গোড়ার কথা। তারই সাতসতেরো। 

কেশব নাগকে সেই খাতা বইয়ের আকারে ছাপার প্রস্তাব দেন তিনি। প্রথমে রাজি হননি কেশবচন্দ্র। তিরিশের দশকের মাঝামাঝি। প্রকাশিত হল ‘নব পাটীগণিত। প্রকাশক ইউ এন ধর অ্যান্ড সন্স।

শিক্ষক কেশবচন্দ্র নাগের সেই কে সি নাগ হয়ে ওঠার বীজ বোনার শুরু হয় এখান থেকেই। বছর কয়েকের মধ্যেই বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে বইটি। পাঠ্যপুস্তক হিসেবেও অনুমোদিত হয়।

১৯৪২ সালে প্রকাশিত হল অঙ্কের সহায়িকা ম্যাট্রিক ম্যাথমেটিক্স। ক্রমশ ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বাড়তে থাকে তাঁর বইয়ের চাহিদা।  ইংরেজি, হিন্দি, নেপালি, উর্দু ভাষায় অনূদিত হয়। পাকিস্তান বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী লিখেছিলেন পাক ম্যাথমেটিক্স। দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রকাশিত হয়েছে ব্রেল সংস্করণও।

ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির স্নাতক মার্টিন বার্ড স্নাইডার কে সি নাগের বইগুলির বিষয়ে বলেছিলেন, ‘দ্য থিয়োরিটিকাল ট্রিটমেন্ট অব দ্য সাবজেক্ট ইন দিজ বুকস ওয়্যার সুপিরিয়র টু দ্যাট ফাউন্ড ইন সিমিলার বুকস ইন দ্য ইউএসএ’। মোট ৪২টা বই লিখেছেন তিনি।

‘অঙ্কের বই মানেই কে সি নাগ’ মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে ততদিনে। নিজের স্কুলের ছাত্র মহলে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় মাস্টারমশাই। স্কুলে আসতেন চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা।  পরণে  খদ্দরের পাঞ্জাবি-ধুতি আর আলোয়ান। কিন্তু বেতের বালাই নেই।

অঙ্ক না পারলে বকুনি জুটত। ‘ছাত্র ঠ্যাঙানি’ কখনও ছিল না তাঁর ক্লাসে। এড়িয়ে চলতেন লাঠৌষধী কৌষল। সে পরামর্শ থাকত অভিভাবকদের জন্য।

শোক এসেছিল জীবনে। প্রথমে পুত্রশোক। তারপর স্ত্রী লক্ষ্মীমণি। তিনি ছিলেন অতুল্য ঘোষের বোন। কাজপাগল অঙ্কের মাস্টারকে তিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন অঙ্ক নিয়ে ডুবে থাকার পরিসার। সংসার নিয়ে ভাবতে হত না। স্ত্রী সামলাতেন দৈনন্দিন সাংসারিক খুঁটিনাটি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাই বলেছিলেন, আই লস্ট মাই ফ্রেন্ড।

ব্যক্তিগত শোককে ভুলতে তিনি নিজেকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বলোকের ছন্দে। নানারকম কর্মদ্যোগে বেছে নিয়েছিলেন আরও বেশি ব্যস্ততা।

গুড়াপের মানুষ তাঁকে চেনে অন্যভাবে। তাঁদের কাছে কেশবচন্দ্র সত্যি ঈশ্বর। গ্রাম ছেড়েছিলেন জীবন শিক্ষা আর জীবিকার টানে। কিন্তু ফিরে ফিরে আসতেন নিজের মায়ের মাটিতে। গুড়াপের উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। গুড়াপের প্রতিবেশী জিতেন্দ্রনাথ রায়— পরবর্তী কালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অষ্টম অধ্যক্ষ স্বামী বিশুদ্ধানন্দ— ছিলেন তাঁর ফ্রেন্ড ফিলসফার অ্যান্ড গাইড। তরুণ কেশবকে তিনিই দেখিয়েছিলেন কর্মযোগের দিশা। গুড়াপে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৩২ সালে বাড়ির কাছে প্রতিষ্ঠা করেন গুড়াপ রমণীকান্ত ইনস্টিটিউশন।

জীবনে চাহিদা ছিল খুব কম। অনেকটা সময় কাটিয়েছেন মেসবাড়িতে। কর্মজীবনের একদম শেষে এসে রসা রোডের মেসবাড়ি থেকে উঠে ১৯৬৪ সালে গোবিন্দ ঘোষাল লেনে বাড়ি তৈরি করে থাকতে শুরু করেন।

নিজে তৈরী কর ছিলেন একটি প্রকাশনী সংস্থা। নিজের অঙ্কের বই লেখার পাশাপাশি করেছেন অনুবাদের কাজ। ভগিনী নিবেদিতার লেখা অনুবাদ করেছিলেন।

অঙ্ক ছিল তাঁর জীবন। ভালবাসতেন ফুটবল। মোহনবাগান ক্লাবের কট্টর সমর্থক। তাই মোহনবাগান ক্লাবের আজীবন সদস্যতালিকায় এক নম্বরে গোষ্ঠ পাল, দ্বিতীয় নামটাই তাঁর। উত্তম-সুচিত্রার সিনেমা ছিল বেজায় প্রিয়, মাঝে মাঝে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখে আসতেন। সঙ্গী নাতনি।

খেলার মাঠে যখন যেতে পারতেন না তখন ধারাবিবরণী শুনতেন রেডিয়োতে। তাঁর প্রথম অসুস্থতার ধাক্কাও আসে সেখান থেকেই। তবে ফুটবলের মাঠে নয়, ক্রিকেটের ময়দানে।

১৯৮৫’র  ভারত-পাক  কানপুর টেস্ট চলছে। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। সেই উত্তেজনায় কাঁপছে তাঁর ঘরটাও। হঠাৎ সংজ্ঞা হারালেন।  হাসপাতল বলল- সেরিব্রাল স্ট্রোক। মৃত্যুর হাত এড়ানো গেলেও দু’বছর শয্যাশায়ী। আর সুস্থতায় ফিরতে পারেননি। প্রয়াত হন  ১৯৮৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...