গ্রীষ্মে খাবার ইচ্ছে অনেকটাই যেন মরে যায়। সেই এক সবজি আর একই ধাঁচের মাছ। প্রচন্ড গরমে তেলমশলার খাবারও খাওয়া যায় না। তবে চেনা সবজি দিয়েই কিন্তু নতুন পদ রেঁধে চমকে দিতে পারেন। তাও একেবারে বাঙালি স্বাদে। গরমের সবজি দিয়ে আমিষ আর নিরামিষ দুই ঘরানার শুক্তোই গরমের অতিথি সেবায় দারুণ হিট। সেই রেসিপির খোঁজ থাকল আজ।
দুধ শুক্তো
কী কী লাগবে?
কাঁচাকলা
কাঁচা পেঁপে
শজনে ডাঁটা
আলু ও মিষ্টি আলু
বেগুন
উচ্ছে
বরবটি
পোস্ত-সাদা সরষে বাটা
বড়ি
দুধ
ঘি
সরষের তেল
নুন, চিনি
কীভাবে করবেন?
সব সবজি ডুমো করে কেটে জলে ধুয়ে নিন। উচ্ছে কেটে অল্প নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াই গরম হলে তাতে সরষে তেল দিন। এবার বড়িগুলো বাদামি করে ভাজুন। ওই তেলেই উচ্ছে ভেজে নিন। ফের তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। পাঁচফোড়ন ফোটার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছে বাদে সব সবজি ঢেলে দিন। ৭ থেকে ৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। আদা বাটা নুন, চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ২ কাপ জল দিয়ে ঢেকে দিন। জল শুকিয়ে এলে তাতে পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। তারপর ৩ কাপ দুধ ঢেলে দিন। একটু পর বড়ি ও উচ্ছে দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন। এবার স্বাদমতো নুন ও চিনি আর ঘি দিয়ে অল্প স্টিমে রাখুন। ঘি ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন। ওপরে অল্প ভাজা বড়ি ভেঙে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
ভাঙাচোরা শুক্ত
কী কী লাগবে?
আড় মাছের মুড়ো
আলু
পেঁপে
ঝিঙে
আদাবাটা
রাঁধুনিবাটা
সরষের তেল
তেজপাতা
কীভাবে করবেন?
মাছের মুড়োর টুকরো ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। সবজিগুলো পাতলা করে কাটুন। প্রথমে কড়াইতে তেল একটু গরম করে নিন। মাছের মুড়ো আগে ভেজে তুলে রাখুন। এবার রাঁধুনি ও তেজপাতা, শুকনোলঙ্কা ফোড়ন দিন। এরপর কড়াইয়ে প্রথমে আলু দিন, পরে পেঁপে এবং সব শেষে ঝিঙে দিন। নুন দিয়ে ঢেকে দিন কড়াই।
সবজি সেদ্ধ হলে মাছের মুড়ো মিশিয়ে দিন। এবার রাঁধুনিবাটা ও সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। স্বাদমতো নুন মিষ্টি দিন। শুক্তোর গন্ধ বেরলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঘি অবশ্য না দিয়েও করা যায় এই পদ।