গণেশ, তিনি গোটা ভারতের বাপ্পা। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম, ওই দিনটি মহাসমারোহে পালিত হত সারা দেশে। কিন্তু বাংলায়? বাঙালি গণেশের জন্মদিন পালন করে সরস্বতী পুজোর আগের দিন, অর্থাৎ মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিটিকেই গণেশের জন্মদিন রূপে মানা হয়।
দক্ষিণায়নের সময় ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের গণেশ চতুর্থী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় গণেশ পুজো। আবার উত্তরায়ণের গোড়ায় মাঘ মাসের শুক্ল চতুর্থী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় গণেশের জন্ম তিথি উপলক্ষ্যে পুজো। একে বিনায়ক চতুর্থীও বলা হয়।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের গণেশ খণ্ডে রয়েছে, স্বয়ং বিষ্ণুর ইচ্ছেয় গিরিরাজ দুহিতা ও মহেশ্বরের পুত্র হিসেবে গণেশের জন্ম। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, গণেশ হলেন শিবের ঔরসজাত পুত্র। পার্বতীর সন্তান। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, গণেশের জন্ম মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীর দিন।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ বঙ্গদেশে জনপ্রিয়। পূর্ব ভারতে মাঘ মাসে শ্রীপঞ্চমীর আগের দিন গণেশ চতুর্থী বা বিনায়ক চতুর্থী পালিত হয়। বহু বনেদি বাড়িতে এদিন গনেশের পুজো হয়, যেমন ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ি। বাঙালির গনেশ উপবীতধারী, তাঁর দেহ বর্ণ লাল। সেই বেশেই তিনি পূজিত হন আজকের দিনে।