পৃথিবীর অন্যতম কঠিন রোগগুলির মধ্যে একটি হলো ক্যান্সার। এই রোগ যেমন প্রাথমিক ক্ষেত্রে ধরা পড়লে তা সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেরকমই প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্ত না করা গেলে তাকে দমিয়ে রাখা মুশকিল। আমরা আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো মানুষকে এই মারণরোগে আক্রান্ত হতে দেখছি। কিছু ক্ষেত্রে সেই রোগ সেরে যায় আবার কিছু ক্ষেত্রে সেই মানুষ ঢোলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। প্রতিষেধক না থাকায় আজও এই রোগ মানুষের মনে মৃত্যুর এক করালরূপ হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এই রোগ নিয়ে বহুযুগ ধরে গবেষণা চলছে, চলছে ওষুধ প্রস্তুতির চেষ্টা। কিন্তু বিফল সবক্ষত্রেই। আজও ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি ছাড়া কোনো পদ্ধতির ব্যবহার খুব একটা চোখে পড়ে না।কিন্তু তাও চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না বিজ্ঞানীগণ।
প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার যখন হানা দেয় তখন তার কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। নীরবে এসে শরীরে থাবা বসায় সে।কিন্তু যখন সেই রোগ শরীরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পরে ঠিক তখনই বিপদঘন্টা বাজতে শুরু করে। এমন একটি সময় যেই সময়ে এই মারণরোগের টিকা আবিষ্কার নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে একজন বাঙালি বিজ্ঞানী দাবি করছেন তিনি ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। আমেরিকার ক্যানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যান্সার বায়োলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ অনিমেষ ধর, অন্য দুই বাঙালি বিজ্ঞানী চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং শান্তনু পাল একত্রে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল 'অঙ্কোটারগেট'-এ। এই গবেষণায় এই তিনবাঙালি বিজ্ঞানীর সঙ্গী হয়েছেন প্রসাদ দণ্ডবতে, শ্রীকান্ত অনন্ত এবং ধর্মলিঙ্গম সুব্রহ্মণ্যম।
অনিমেষবাবু জানিয়েছেন,অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। হালকা জন্ডিস এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু হালকা জন্ডিস যে পরবর্তীকালে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে তা ধারণা করা সহজ নয়। তাই এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লক্ষণ প্রকাশ করলেও তা ক্যান্সারের মূল লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় না। অনিমেষবাবু জানান, তারা যে ওষুধ আবিষ্কারের পথে এগোচ্ছেন তা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার দমনে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। হলুদের প্রধান উপাদান কিউকারমিন. এক বিশেষ ধরণের ফুলের উপাদান হারমিন এবং বিশেষ একপ্রকার গাছের উপাদান আইসোভ্যানিলিনের সংমিশ্রনে তৈরী হয়েছে এই ওষুধটি। তিনি জানাচ্ছেন, প্রাচীন ইউনানি চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগে কিউকারমিন, হারমিন এবং আইসোভ্যানিলিনের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করা আছে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানান, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কমে যায় যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়। অনিমেষবাবুর তৈরী ওষুধ ইতিমধ্যেই প্রাণীদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ওষুধ অন্য প্রাণিদেহেও প্রয়োগ করা হবে। দুই ক্ষেত্রেই যদি এই ওষুধ সঠিকভাবে কাজ দেয় তাহলে এই ওষুধ আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার যখন হানা দেয় তখন তার কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। নীরবে এসে শরীরে থাবা বসায় সে।কিন্তু যখন সেই রোগ শরীরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পরে ঠিক তখনই বিপদঘন্টা বাজতে শুরু করে। এমন একটি সময় যেই সময়ে এই মারণরোগের টিকা আবিষ্কার নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে একজন বাঙালি বিজ্ঞানী দাবি করছেন তিনি ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। আমেরিকার ক্যানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যান্সার বায়োলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ অনিমেষ ধর, অন্য দুই বাঙালি বিজ্ঞানী চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং শান্তনু পাল একত্রে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল 'অঙ্কোটারগেট'-এ। এই গবেষণায় এই তিনবাঙালি বিজ্ঞানীর সঙ্গী হয়েছেন প্রসাদ দণ্ডবতে, শ্রীকান্ত অনন্ত এবং ধর্মলিঙ্গম সুব্রহ্মণ্যম।
অনিমেষবাবু জানিয়েছেন,অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। হালকা জন্ডিস এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু হালকা জন্ডিস যে পরবর্তীকালে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে তা ধারণা করা সহজ নয়। তাই এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লক্ষণ প্রকাশ করলেও তা ক্যান্সারের মূল লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় না। অনিমেষবাবু জানান, তারা যে ওষুধ আবিষ্কারের পথে এগোচ্ছেন তা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার দমনে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। হলুদের প্রধান উপাদান কিউকারমিন. এক বিশেষ ধরণের ফুলের উপাদান হারমিন এবং বিশেষ একপ্রকার গাছের উপাদান আইসোভ্যানিলিনের সংমিশ্রনে তৈরী হয়েছে এই ওষুধটি। তিনি জানাচ্ছেন, প্রাচীন ইউনানি চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগে কিউকারমিন, হারমিন এবং আইসোভ্যানিলিনের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করা আছে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানান, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কমে যায় যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়। অনিমেষবাবুর তৈরী ওষুধ ইতিমধ্যেই প্রাণীদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ওষুধ অন্য প্রাণিদেহেও প্রয়োগ করা হবে। দুই ক্ষেত্রেই যদি এই ওষুধ সঠিকভাবে কাজ দেয় তাহলে এই ওষুধ আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।