আজ এমন এক জমির মালিকের কথা বলব যে কিনা সস্তায় এক্কেবারে কিস্তিমাত করে ফেলেছে। শুনে অবাক লাগতেই পারে যে জমি কেনায় কি এমন বাহাদুরি! আর এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কতইবা সস্তা হতে পারে তা? আজ সেই কথা জানাবো।
এই বাজারে মাত্র ৩০০০/- টাকায় এক একর জমি, তাও আবার ভিন গ্রহে - বিষয়টি আশ্চর্যের নয় কি? ঠিক এমন কাজই করে ফেলেছেন শ্রীরামপুর নিবাসী শৌনক দাস। পেশায় বেসরকারি ইন্সুরেন্স কোম্পানীর উচ্চপদস্থ কর্মচারী শৌনকের সৌরজগৎ নিয়ে আগ্রহ বিস্তর। আর সেই সূত্র ধরেই তিনি মঙ্গলগ্রহে মাত্র ৩০০০/- টাকার বিনিময়ে এক একর জমি কিনে ফেলেছেন। দস্তুর মতো নাসার অনুমোদিত এক বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছেন সেই জমির দলিল, সেখানে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত কোথায় সেই জমি। যদিও পৃথিবীর আরো ৩২ হাজার ২৯৫ জনের সাথে এই বঙ্গতনয় খোদ মঙ্গলে জমির মালিকানা পেয়েছেন। বাকিদের সাথে তার নাম-ঠিকানাও নাসার মঙ্গলগামী একটি মাইক্রোচিপে নথিভুক্ত হয়েছে।
কিন্তু এই জমির সন্ধান পেলেন কোথায়? এ ব্যাপারেও তাকে সাহায্য করে বিশ্বের সেরা শিক্ষক গুগল, সেখানেই অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই জমির সন্ধান পায় সে। ব্যাস, তারপর স্বপ্নের মালিকানার সন্ধানে এই প্রাপ্তি হয় তার। নাসা আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারী কয়েকজনকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে, তাতে অবশ্য শৌনক নেই। তিনি আপাতত নামেই খুশি। তবে তার চন্দ্রযানের শৌচাগারের এক নকশা ইতিমধ্যেই নাসার স্বীকৃতি পেয়েছে, আর সেই স্বীকৃতি মূল্য নেহাত কম নয়। যাইহোক, বঙ্গতনয়ের এই সামগ্রিক সাফল্য নিসঃন্দেহে বাংলাকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে ভিনগ্রহে নামমাত্র মূল্যে জমি কিনতে চাইলে চেষ্টা করতেই পারেন। বলা যায় না, এরপর এমন সস্তায় পুষ্টিকর সুযোগ মেলে কি না!