রাজ্যের দমকল বিভাগ দমকলকর্মীদের সাহায্যার্থে আগুন নেভানোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন রোবট আনতে চলেছে। মোট চারটি রোবট আনা হবে। এই ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। অতিরিক্ত তাপ, দমবন্ধ করা ধোঁয়া এবং বিস্ফোরণের মত পরিস্থিতিতে এই রোবোটগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে। পূর্ব ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম এই ধরণের রোবটের মাধ্যমে কাজ করা হবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই রোবট এসে যাবার কথা। যে কোনও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এই রোবট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অগ্নি এবং জরুরি অবস্থার প্রতিমন্ত্রী সুজিত বোস জানান, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী সবসময় মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন, তাই এই রোবোটগুলি কেনার ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সমাধা করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। অগ্নি নির্বাপনের ক্ষেত্রে রোবট গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে। অগ্নি নির্বাপনের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে এগিয়ে থাকল।
সাম্প্রতিক বাগরি মার্কেটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরই রোবটের কথা মাথায় আসে সরকারের। সেই সময় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া যেত। রাসায়নিক সামগ্রীতে আগুন লাগার ফলে যেভাবে দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে যায়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রোবটের রয়েছে বলে জানান দমকল বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল জগ মোহন। আগুন এবং তাপ নিরোধক পদার্থের দ্বারা তৈরী এই রোবোটগুলি রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে পরিচালনা করা যায়। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল নীলাদ্রি চক্রবর্তী জানান, এই রোবোটগুলি লেলিহান আগুনের মধ্যেও যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। এগুলির মাধ্যমে যে কোনও ধরনের অগ্নি সংযোগের জন্য কেমন সমাধান প্রয়োজন, তারও ব্যবস্থা রয়েছে। আধুনিক শপিং মলগুলির জন্যও এই রোবোটগুলি অত্যন্ত কাজের। আগুনের ধরন এবং দিক বুঝে সেই মতো নিজেরাই কাজ করতে সক্ষম এই রোবট।
রোবটগুলি দমকল বিভাগের হাতে এসে গেলে প্রথমে দমকল কর্মীদের তিন মাসের ট্রেনিং দেওয়া হবে এগুলি যথাযথভাবে ব্যবহার করার পদ্ধতি শেখার জন্য।