ক্রমে কমে আসছে বাংলার বাঘ

চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গে বাঘের সংখ্যা আরও কমেছে। ২০১৪-র পরিসংখ্যান অনুসারে ২ টি বাঘকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে (বিটিআর)। বাংলার উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই জঙ্গল। ২০১৮-১৯ এ তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।অন্য দিকে, একমাত্র সুন্দরবনে বাঘের উপস্থিতি ৭৬ থেকে ৮৮তে পৌঁছেছে।  

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও বলেছেন, বাঘের সংখ্যা বিবর্তিত হচ্ছে। তবে তাঁর আধিকারিকদের পরিসংখ্যানের সাথে বাস্তবের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। বক্সার কথা ভুলে যদিও মিডিয়া মেতে রয়েছে সুন্দরবন নিয়ে। তবে মিডিয়া বা কেন্দ্রের তরফে কোনও সতর্কতাই জারি করা হয়নি।    

আগামী ৫০ বছরে সুন্দরবনে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ চেহারায় যেতে পারে। এমনটাই মনে করছে সব মহল। তাতে স্থানীয় বাসিন্দা তথা পশু-পাখি সকলেরই অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। সম্প্রতি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও লোকসভায় এই একটি টাইগার সাফারি বানানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যদিও পরে এ বিষয়ে মন্ত্রকে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেনি কেউই। মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও এই প্রস্তাবে বলেন, রাজ্যের তরফে এই প্রস্তাবকে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র।

ম্যানগ্রোভ সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ভবিষ্যত কি? প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, পরিবেশের আরও নানা অযত্নের কারণে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে সুন্দরবনে। তার জেরে বাঘেদের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত সাগর দ্বীপ। এখানেই প্রতি বছর সাগরমেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই দ্বীপের একাধিক অংশ ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে প্রতি বছরের বন্যায়। ঘোরামারা, সুবর্ণভাঙা, লোহাচারা প্রমুখ এলাকাগুলি ক্রমশই মিলিয়ে যাচ্ছে। বক্সার মত সুন্দরবনের বাঘেরাও যদি বিপন্ন হয়ে ওঠে, তা হলে প্রাণী জগতের কাছে সে বার্তা ভয়াবহ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।     

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...