আবারও দেশের মুখ উজ্জ্বল করল বাংলা। জয়জয়কার গোটা দেশে৷ ৩৯ বছর পর আবার এই ঘটনাটি ঘটল। বিজ্ঞানে দেশের সর্বোচ্চ বড় সম্মান ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’-এ সম্মানিত হলেন চার বাঙালি বিজ্ঞানী৷ কোভিড-১৯ রোগের ওপর গবেষণা করে ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছে বিজ্ঞানী দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় সহ চার বাঙালি বিজ্ঞানী। সদ্য বিদেশ ফেরত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই ঘটনায় খুশি হয় ডঃ দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন ৷
এই সম্মানটি মোট ১২জন পাচ্ছেন। তার মধ্যেই চারজন বাঙালি আর সেটাই গর্বের বিষয়। ৪ বাঙালি যারা ভাটনগর পুরস্কারে সম্মানিত হলেন, তাঁরা হলেন — ডঃ দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির বিজ্ঞানী৷ বম্বে আইআইটির কেমিক্যাল বিভাগের বিজ্ঞানী দেবব্রত মাইতি। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সেসের বিজ্ঞানী অনিন্দ্য দাস। মুম্বইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বিজ্ঞানী বাসুদেব দাশগুপ্ত।
বহুবছর পরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনও বাঙালী এই ভাটনগর সম্মানটি পেলেন৷ দীপ্যমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, ‘‘ভাটনগর সম্মান পাওয়ায় ড: দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই৷ কোভিড সংক্রান্ত গবেষণায় তাঁর অসাধারণ কাজ তাঁকে এই সম্মান এনে দিল৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানে বহুবছর পর কোনও বাঙালি বিজ্ঞানী এই সম্মান পেলেন৷’’
এই পুরষ্কারটি কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে দেওয়া হয়ে থাকে। (সিএসআইআর)-এর প্রথম ডিরেক্টর প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যেগুলি হল জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞান।
ভাটনগর পুরস্কার স্বরূপ গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয় এবং এই সম্মানটি ৪৫ বছরের কম বয়সী বিজ্ঞানীরা পেয়ে থাকেন৷
এই পুরষ্কার পাওয়ার পর ডঃ দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আরও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে? সেটাও দেখতে হবে।”