বাংলায় বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নতিতে বিভিন্ন রকম প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির রূপায়নের মধ্যে দিয়ে যেভাবে তাদের উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। এই উন্নয়নের মাধ্যমে ন্যায়বিকাশের পথে সারা দেশের রোল মডেল হবে পশ্চিমবঙ্গ তা বলাই যায়। জাতীয় তফসিলি জাতির কমিশনের সেই রকমই আশা। কমিশনের চেয়ারম্যান রামশংকর কাঠোরিয়া সর্বশেষ পর্যালোচনা বৈঠকের সমাপ্তিপর্বে পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরের কর্তাদের প্রান্তিক মানুষদের সামাজিক অগ্রগতির কাজে নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। দেশকে নেতৃত্ব দেবে আমাদের রাজ্য সামাজিক ন্যায় বিকাশের ক্ষেত্রে, এমনটাই আশা করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। পশ্চিমবঙ্গ এই ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের রোল মডেল হিসেবে দিশা দেখাবে বলেও মনে করেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতিভুক্তদের নিয়োগে রাজ্যের প্রয়াসে পশ্চিমবঙ্গ নজর কেড়েছে। রাজ্যের সরকারি চাকরিতে ২২ শতাংশ পদ তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী তাদের চাকরিতে পদোন্নতির জন্য ৫০ পয়েন্ট রস্তার ও সরাসরি নিয়োগের জন্য ১০০ পয়েন্ট রস্তার মেনেই এগোনো হয়। একশো দিনের কাজের প্রকল্পেও রাজ্যে উপকৃত তালিকায় রয়েছেন ২৬.৫৩ শতাংশ তফসিলি জাতিভুক্ত। বিনামূল্যে উদ্বৃত্ত জমি বিতরণ প্রকল্পে, বিতরণ করা জমির ১০০ শতাংশই তফশিলিরা পেয়েছেন। তাছাড়া তফসিলি জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব ঋণ প্রকল্পও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চারশোরও বেশি তফসিলি জাতিভুক্ত মেয়েকে দক্ষতা বিকাশের জন্য বিউটি পার্লার, বই বাঁধানোর মত নানা প্রশিক্ষণও দিয়েছে রাজ্য সরকার। এভাবেই বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে এবং বিভিন্ন রকম প্রকল্পের রূপায়ন করে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নতিকল্পে পশ্চিমবঙ্গ যে পন্থা অবলম্বন করেছে, তা অবশ্যই দেশের উদাহরণ হিসেবে কাজে দিতে পারে।