রাতে ভালো ঘুম হোক বা না হোক অফিসের বোরিং সময় হোক বা স্কুলের বোরিং লেকচার হাই উঠবেই উঠবে। আর যেই দেখা যায় একজন হাই তুলছে অমনি পশে বসা লোকটিরও হাই উঠে যায়। তাই অনেকেই এই হাই তোলাকে "ছোঁয়াচে" বলে ব্যাখ্যা করেছেন। অনেকসময় অস্বস্তিতেও পড়তে হয় আমাদের সবাইকে। কিন্তু অত্যন্ত "লজ্জাজনক" এই জিনিসটি আসলে শরীরের এতো উপকার করে তা জানা ছিলোনা কারোর। হাই তুললে চোখ হয় পিচ্ছিল তার ফলে চোখে থাকা ধুলো-বালি বেরিয়ে যায়। বারবার হাই তোলার ফলে কানের অস্বস্তি যাকে "কানে তালা লাগা" বলে সেটার অবসান ঘটে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এটি মস্তিষ্কে শিথিলতা কমানোর পাশাপাশি মানসিক দক্ষতাও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি স্নায়ু তন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং শিরায়-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। হাই তোলার ফলে অনেক্ষনের আড়ষ্ট শরীর থেকে জড়তা কাটে কারণ এর ফলে মাংস-পেশি প্রসারিত হয়। তাই যতই অস্বস্তিতে পড়ুন না কেনো হাই তুলতে পিছপা হবেন না। জমিয়ে হাই তুলুন আর সুস্থ থাকুন।