গরমে সবার হাল বেহাল| গরমে তৃষ্ণার থেকে রক্ষা পেতে সকলে বেশি করে জল খায়, কেউ সরবত খায় তো কেউ ফলের রস খায়| ফল শুনলেই গরমকালে আমাদের মাথায় আসে আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচু| আম কাঁঠাল তো অনেকের ভালো লাগে| তবে লিচুর ফ্যানও কম নয়| রসে ভরা লিচু যা লাল খোলসে ঢাকা থাকে, মুখে দিলেই মুখের ভিতর রস ভরে যায়| যদি আপনার ভালো লাগে লিচু খেতে তাহলে বেশি করে খান| লিচু খেয়াল রাখবে আপনার চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্য-এর| কারণ এই লিচু যেমন সুস্বাদু তেমনি এর গুণাবলীও প্রচুর|
জেনে নেওয়া যাক, লিচু আমাদের কিভাবে উপকার করে:
১. লিচুতে অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিস, ফ্লাভনয়েড থাকে যা ক্যান্সারের মত মারাত্মক প্রাণনাশক রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে, বিশেষত ব্রেস্ট ক্যান্সার|
২. লিচু শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে| এতে পলিফেনলের দ্বিতীয় উচ্চতম ডিগ্রী থাকায় এটি হার্ট-কে ভালো রাখে, প্রতিদিন এক গ্লাস করে লিচুর রস খেলে আমরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হব|
৩. লিচুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি আমাদের ইমিউনিটি বাড়ায়, আর ‘ওলিগনল’(একধরনের পলিফেনল) থাকায় এটি অ্যান্টি-ফ্লুয়েন্জা হিসাবে কাজ করে|
৪. লিচু রক্তসঞ্চালনে সহায়তা করে এবং অ্যামিনিয়া রোগ প্রতিরোধ করে|
৫. লিচুতে কম মাত্রায় ক্যালোরি থাকে, এতে কোনো কোলেস্টরল থাকে না| এতে বেশিমাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার থাকায় এটি ওজন কমাতে পারে|
৬. লিচু আমাদের পচন ক্রিয়ায় সহায়তা করে| এটি আমাদের পাকস্থলীকে পরিস্কার করে আর হজমক্রিয়া বাড়ায়| পৌষ্টিকতন্ত্র-এর সহকারী ফল হিসাবে লিচুর ভুমিকা আছে|
৭. লিচুতে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি থাকায় এটি আমাদের ত্বক, হাড়, লিভার ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গকে ভালো রাখে|
৮. লিচুতে অ্যান্টি-ভাইরাস উপাদান থাকে| বিশেষত, হারপেস ভাইরাস যা মারাত্মক, সেটি থেকে লিচু আমাদের রক্ষা করে|
৯. লিচুতে অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকে, যা আপনার ত্বককে উজ্বল ও তরতাজা রাখতে প্রয়োজনীয়| এছাড়াও ত্বকের কোনো দাগ যেমন সান-বার্ন নিরাময় করে, ত্বককে দাগমুক্ত করতে কার্যকরী|
১০. লিচু চুলকে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে ও প্রয়োজনীয় পৌষ্টিক তেল সরবরাহ করে চুলে আলাদা জেল্লা এনে দেয়|