ছোটবেলায় ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা সর্দিকাশির সমস্যা সারিয়ে তোলার জন্যে মা,-ঠাকুমারা ভরসা করতেন যষ্টিমধুর উপর। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতির সময় যষ্টিমধু খুব কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। ভেষজগুণ সম্পন্ন যষ্টিমধুতে রয়েছে বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড। বহু আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয় যষ্টিমধু দিয়ে। আসলে যষ্টিমধু গাছের শিকড়েই রয়েছে এই ভেষজগুণ। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে যষ্টিমধু। এর ফলে স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিয়ন্ত্রণে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, কাশি বা কফ, গলা ব্যথা, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা, ফুসফুসের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট ইনফেকশন, ব্রঙ্কিয়াল স্প্যাজমের মাংসপেশি সংকোচিত হলে তা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে যষ্টিমধু। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যষ্টিমধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই যষ্টিমধু ব্যবহার করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্যেও খুব প্রয়োজনীয় যষ্টিমধু। একজিমা, প্রদাহ, সানবার্ন, পায়ের ছত্রাক জনিত সমস্যা, ত্বকের ফোলা ও চুলকানি থেকে নিস্তার পেতে যষ্টিমধুর ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
পেটের সমস্যা যেমন-পাকস্থলীর আলসার, কোলাইটিস, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাকস্থলীর ভেতরের প্রদাহজনিত ও পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যার নিরাময় সম্ভব যষ্টিমধুর তৈরি ওষুধ মাধ্যমে। বিশেষ করে আলসার চিকিৎসায় যষ্টিমধু খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের দাঁত ও মাড়ির জন্যে মাল্টিপারপোজ হার্ব খুব দরকারি। এছাড়াও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে যষ্টিমধুতে। ভেষজগুণের জন্যেই পৃথিবীর বহু দেশে যষ্টিমধুর চাষ হয়। যার মধ্যে নাম রয়েছে ইরান, ইতালি, আফগানিস্তান, চীন, পাকিস্তান ও ভারত প্রভৃতি দেশে