অ্যানিমিয়া থেকে ডায়াবেটিস, উপকার পাবেন কালোজামে

কথায় বলে আম-জাম। আম এলে জাম আসবেই। মে মাস পড়লেই গন্ধ বদলে যায় বাগানের। কালো-বেগুনি জামের থোকায় ভরে ওঠে গাছের ডাল। একটু জোর হাওয়া দিলেই টুপটাপ ঝরে পড়ে মাটিতে। গ্রীষ্মের ছুটি মানেই জাম কুড়োবার ধুম। হাত যদি না পৌঁছায় তাহলে বাঁশের আঁকশি দিয়ে।

জামের রঙের মতোই তার স্বাদ গন্ধও বেশ চড়া। বছরের এই সময়টা নানা আকারের জামে ভরে ওঠে বাজার। কষা মিষ্টি স্বাদ মন কেড়ে নেয়।

কালো জাম কিন্তু শরীরের জন্যও যথেষ্ট উপকারী ফল তো বটেই তার পাতার ব্যবহারেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে শরীরে। কীভাবে কাজ দেয় কালো জাম? তথ্য রইল এই নিবন্ধে

 

১. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখা- কালো জামে রইছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। নিয়মিত জাম খেলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। রক্তাল্পতা দূর করে।

২. মাড়ি থেকে রক্তপাত এক বড় সমস্যা। জাম পাতা চিবিয়ে খেলে এই সমস্যা সেরে যায়।জামে প্রচুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যা এই ধরনের সমস্যায় কাজ দেয়। শুকনো জামপাতা গুঁড়ো করে দাঁতে ঘষলেও ফল পাওয়া যায়।

৩. জামকে বলা যায় অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস। জামে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট রয়েছে।  ভিটামিন এ’তে সমৃদ্ধ। চোখের সমস্যা থাকলে নিয়মিত জাম খাওয়া উচিত। ত্বক ভালো থাকে, বলিরেখা আটকায়। এছাড়া ব্রণ, ফুসকুড়ি, মেচেদা, দাগ, ছোপ থেকে দূরে রাখে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়।

৪. যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত খেতে পারে এই ফল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে উপকারী। জামে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। যা হার্টের জন্য উপকারী। জলের উপাদান বেশি, কোলেস্টেরল ‘জিরো’। জামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। জাম ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৫. মধুমেহ বা ডায়াবেটিস থাকলে বেশির ভাগ ফলই বাদ চলে যায় খাদ্য তালিকা থেকে। জাম কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে। জামের বীজে ‘জাম্বোলানা’ নামে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান থাকে। কবিরাজী চিকিৎসাতেও বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটসের চিকিৎসায় জাম গাছের পাতা, ছাল ব্যবহার করা হয়।

 

     

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...