গুড়ের গুনাগুন

শীতের পরশ লাগা মানেই ঘরে ঘরে মোয়া, পায়েস, পিঠে-পুলির বানানো শুরু হয়ে যায়। আর বাঙালীদের শীতকালের মিষ্টি মানেই তাতে থাকতে হবে নলেন গুড় কিন্তু আপনি কি জানেন ,নলেন গুড় শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, এর অনেক উপকারিতাও আছে। বিশেষজ্ঞ   চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে প্রতি দিনের ডায়েট একটু নলেন গুড় রাখতে পারলে শরীরিক উপকার হয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘নলেন গুড়ের আয়রন শরীরের নানা কাজে লাগে। শুধু তাই-ই নয়, চিনি বা কৃত্রিম চিনির চেয়ে অনেক বেশি উপকারী গুড়। চিনিতে ক্যানসার হয় কি না, তা নিয়ে সারা দুনিয়ায় নানা গবেষণা চললেও গুড় যে চিনির চেয়ে সার্বিক ভাবে বেশি উপকারী এ নিয়ে কারও কোনও দ্বিমত নেই’’

 

)গুড় হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার পর প্রতি দিন একটু করে গুড় খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়, বদহজমজনিত সমস্যাও থাকে না।

)পিরিয়ডের সমস্যা মেটাতে গুড় খুব কার্যকর। পিরিয়ড শুরুর দিন কয়েক আগে ও পিরিয়ডের সময় যে নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন মেয়েরা, গুড় সে সমস্যার অন্যতম সমাধান। হরমোনের সমতা রক্ষা ছাড়াও গুড় এনডোরফিন্স বা ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়িয়ে এই সমস্যাগুলিকে দূরে রাখে। 

)চিনির অন্যতম বিকল্প গুড়। চিনিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে জমে গেলে নানা অসুখের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু গুড়ের কার্বোহাইড্রেটের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। তা রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যেতে পারে আবার রক্তে বেশি ক্ষণ  থাকতেও সক্ষম। তাই হঠাৎ গ্লুকোজ কমে যাওয়ার ভয় থাকে না।

)গুড় শীতকালে শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে লড়তে সুবিধা হয়।  গুড়ে থাকা আয়রন আমাদের হিমোগ্লোবিনে আয়রনের ভারসাম্য বজায় রাখে। রক্তাল্পতার রোগীদের ডায়েটে তাই গুড় থাকার প্রয়োজন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...