উত্তর হালদার পাড়া | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

দৈনন্দিন ব্যাস্ততার মধ্যো একটা মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কি? এর উত্তরে অনেকে ভিন্ন মত পোষন করলেও আর বাকি পাঁচটি জিনিসের মতই প্রয়োজন দৈনন্দিন বিশ্রাম। রাতে বাড়ি ফিরে খেয়ে দে রাতে ঠিক মত ঘুম না হলে দেখা দিতে পারে বহু রোগ। তাই “দিনের শেষে, ঘুমের দেশে”-র উদ্দেশ্যে পারি না দিলে পরের দিন আবার কাজ করার শক্তি পাবেন কি করে।

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলা স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর হালদার পাড়া পূজা কমিটির সদস্যরা। সঞ্চালক নবনীতার সাথে পুজো আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির কার্যকারী সদস্য সৌমেন আদক, প্রবীন সদস্য অরুপ গাঙ্গুলি ও থিম শিল্পী সঞ্জয় মন্ডল।

এইবছর ৬৯ তম বর্ষে তাদের থিম, “দিনের শেষে, ঘুমের দেশে”। থিমের সাথে সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরী হচ্ছে প্রতিমা, সঙ্গীত শিল্পী দিপসি-র কন্ঠে থাকছে থিম মিউজিকও। পুজোর কটা দিন পল্লীবাসীরা এতটাই ব্যাস্ত থাকে যে পাড়ার পুজো ছেড়ে কোথাও প্রায় যাওয়াই হয় না তাদের। আর রসনা তৃপ্তি? অষ্টমীর দিন সকল পল্লীবাসীদের জন্য খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়।

নবমীর দিন সকল দর্শনার্থীদের জন্য থাকে মায়ের ভোগের আয়োজন। তাছাড়াও পুজোর পাঁচদিন মন্ডপের পাশে এত খাবারের স্টল থাকে যে দর্শনার্থীরা রসনা তৃপ্ত হবেনই। পুজোর ছাড়াও বছরভোর বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিযুক্ত থাকে পূজা কমিটি, যার মধ্যে প্রধান উল্লেখযোগ্য হল কৃত্রিম পা ও কৃত্রিম হাত প্রদান করা। চিরাচরিত প্রথা মেনে দশমীর দিন সিঁদুর খেলা ও বরণের মধ্যে দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।

দমদম বা কবি সুভাষগামী যেকোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে কালিঘাট মেট্রো, সেখান থেকে বেহালা গামী যে কোনও বাস বা অটো তে উঠে পাঠকপাড়ার নিকট এই পূজা মন্ডপ। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...