পৃথিবীর জন্ম কিভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও রহস্য। কিন্তু পৃথিবীতে এই যে বিরাট মানবসভ্যতার উদ্ভব, তা এসেছে কিভাবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। কিন্তু একথা ঠিক, পৃথিবীর অন্যতম আদিম সভ্যতা হিসেবে আখ্যান দেওয়া যেতেই পারে সাঁওতালি প্রজাতিকে। এই প্রজাতির যে কত উপজাতি তার হিসাব রাখা দুষ্কর। কিন্তু তাদের এই প্রাচীন সভ্যতা আজও চলে আসছে বংশপরম্পরায়। আর তাদের এই সভ্যতাকেই থিম হিসেবে নিজেদের দুর্গাপুজোর মন্ডপে তুলে ধরতে চলেছে বেহালা জাগরণী ক্লাব।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন জাগরণী ক্লাব-এর দুই থিম মেকার কৌশিক চ্যাটার্জি ও পূজা মাইতি। সঞ্চালক মৌমিতার সঙ্গে তারা ভাগ করে নিলেন নিজেদের পুজোর যাবতীয় কথা।
এবছর নিজেদের দূর্গাপুজোর ১৬তম বর্ষে বড়রকমের থিম দিয়ে শহরাবাসীকে নিজেদের প্যান্ডেলমুখী করতে চায় জাগরণী ক্লাব। অন্যান্যবার তারা সাবেকিয়ানায় পুজো করলেও গত বছর থেকে থিমের পুজোয় নিজেদের পথচলা শুরু করেছে। আর এবার তাদের থিমের নাম ‘কৃষ্ণকলি’। আমাদের বাংলা তথা ভারতে সাঁওতালি জাতির মানুষ যে কত রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু গোটা বিশ্বে এই সংখ্যা আরও বেশি। আর সাঁওতালি মানুষ ও তথাকথিত আধুনিক মানুষের মধ্যেকার যে ভেদাভেদ – সেই ভেদকে দূর করে সকলকে একত্র করার বিশেষ ভাবনা নিয়ে এবার পুজোর ময়দানে হাজির হতে চলেছে জাগরণী ক্লাব।
মূলত পঞ্চমী থেকেই বিভিন্ন পুজো মন্ডপে ঘুরতে যাওয়ার প্রচলন থাকলেও ইদানিং কয়েক বছরে একেবারে মহালয়ার পর থেকেই ভিড় দেখতে পাওয়া যায় মন্ডপে মন্ডপে। আর তাই মহালয়ায় দেবীর বোধনের দিনেই শুভ উদ্বোধন হবে জাগরণী ক্লাবের দূর্গোৎসবের। পাড়ার পুজো হওয়ায় একেবারে পুজো কমিটির সাথে জড়িয়ে থাকেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। পুজোর যাবতীয় সকল কাজে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখভাল করেন তিনি। অষ্টমী ও নবমীতে নিরামিষ ভোগে এবার পেটপুজোর দারুণ বন্দোবস্ত করতে চলেছে তারা। সবমিলিয়ে বেশ এলাহি আয়োজন তা বলাই বাহুল্য।
তাহলে কিভাবে যাবেন জাগরণী ক্লাবে? দমদম বা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে পর্ণশ্রীগামী কোনও বাসে উঠে নামতে হবে পর্ণশ্রী বাস স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে পর্ণশ্রী পল্লী পোস্ট অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে কিছুটা হাটলেই পেয়ে যাবেন জাগরণী ক্লাবের পূজা মন্ডপ।