“মেঘে মেঘে বয়ে এল বেলা
এবার তবে মায়ের আগমনীর পালা”
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল একটি বছর। আর কিছুদিন, তারপরেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গোৎসব। যাতে শুধু বাঙালিই নয়, মেতে উঠবে আপামর বাংলা। তবে শুধুমাত্র বাংলা বলাটাও ভুল। তার কারণ বর্তমানে, বাংলার গন্ডি পেরিয়ে বাঙালির দুর্গোৎসব পারি দিয়েছে সুদূর বিদেশে, লন্ডন, নেদারল্যান্ডস বা জার্মানি, আজ তারও মেতে উঠেছে শারোদৎসবের আনন্দে। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আমাদের স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন বেহালা ১১ পল্লী পুজো কমিটির সদস্যবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ সভাপতি চন্দন মুখার্জী, উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক মঞ্জুরি মুখার্জী ও থিম শিল্পী বিভাস মুখার্জী। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে তাদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরাও। এইবছর ৬৬তম বর্ষে তাদের থিম “খাঁচার ভেতর অচীন পাখি”। প্রতিবছর বাংলা বছরের প্রথম দিনেই খুঁটি পুজো করা দিয়ে শুরু হয় তাদের আসন্ন দুর্গোৎসবের প্রস্তুতী, তারপর দেবী পক্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ মহালয়ার দিন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের পথচলা।
অষ্টমীর দিন পূজা কমিটির তরফ থেকে মহাভোজের আয়োজন করা হয়। পুজো ছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিযুক্ত থাকে বেহালা ১১ পল্লী ক্লাব, ২৬শে জানুয়ারী ক্লাব প্রাঙ্গনে থাকে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। তাছাড়াও সেই দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফুটপাথ বাসিন্দাদের হাতে কম্বল ও অন্ন তুলে দেওয়া হয় ক্লাবের তরফ থেকে। পুজোর চরটি দিনের মধ্যে একটি দিন পল্লীবাসিদের নিয়ে চলে ‘ধুনোচী নাচ’ প্রতিযোগিতা। তাছাড়াও আরও এমন অনেক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয় যা আর পাঁচটি ক্লাবে হয়ে থাকে না। এককথায় মহালয়া থেকে দশমী, মহা আনন্দেই কাটে পল্লীবাসিদের।