কলকাতার পিজি হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের বেডের পাশেই যাতে ডায়ালিসিস-এর ব্যবস্থা করা যায়, সেই কারণে প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতালের ডায়ালিসিস পরিষেবাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আশঙ্কাজনক ইউনিটগুলিতে আইসিইউ, আইটিইউ-এর মতো বড় ওয়ার্ডে রোগীদের না সরিয়েই বেড সাইড ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা পূর্ব ভারতের সরকারি ক্ষেত্রে এই প্রথম।
ভেন্টিলেটর, কার্ডিয়াক মনিটর এবং অন্যান্য যন্ত্র সহ যাতে আশঙ্কাজনক রোগীদের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে না হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। এইভাবে টানাহ্যাঁচড়া করার ফলে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো রোগীর মৃত্যুও হয়ে যায় এর ফলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল দু'বছর আগে থেকেই। এজন্য পাঁচটি 'আর ও' প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে পরিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য। এর মধ্যে দুটি ১০০০ লিটারের, দুটি ৫০০ লিটারের এবং একটি ২৫০ লিটারের প্ল্যান্ট বসানো হবে। ১০০০ লিটারের প্ল্যান্টের জন্য খরচ হচ্ছে ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। ৫০০ লিটারের প্রতি প্ল্যান্টের জন্য খরচ হচ্ছে ৬৩ লক্ষ টাকা।
সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসার নিকু থেকে শুরু করে সিসিইউ, আইটিইউ, এসডিএলডি আইটিইউ, ট্রমা আইসিইউ সহ হাসপাতালের প্রায় সব আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসার জায়গাতেই বেডের পাশে আনা হচ্ছে ডায়ালিসিস পরিষেবা। কিডনি ফেইলিওরের মতো জটিল সমস্যা হলে একাধিক রোগে জেরবার মুমুর্ষু রোগীকে যাতে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। উডবার্ন ওয়ার্ড, মেইন ব্লক, এসডিএলডি বিল্ডিং, হার্ট এবং কার্ডিওথোরাসিক ওয়ার্ডে বসছে এই 'আর ও' প্ল্যান্টগুলি। নতুন ১৭টি ডায়ালিসিস মেশিনের মধ্যে ইউরো-নেফ্রো বিল্ডিং-এই বসছে ১৫টি মেশিন। এর পেছনে খরচ হচ্ছে ৯৩.৫ লাখ। হার্ট সার্জারি তথা সিটিভিএস ও উডবার্ন বিল্ডিং-এ বসছে আরও একটি করে ডায়ালিসিস মেশিন। আরও তিনটি স্লেড ডায়ালিসিস মেশিন বসছে পিকু বা বাচ্চাদের আইসিউ, ট্রমা কেয়ারের আইসিউ এবং লিভারের চিকিৎসা এসডিএলডি বিল্ডিং-এর আইটিইউ তে।