হেঁশেলে ডাল-তরকারি রাম্নায় ফোড়ন হিসেবে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী তেজপাতা। রোজকার রান্না বাদ দিয়েও বিরিয়ানি, পোলাও, পায়েস কিংবা কারিতে তাকে চাই। রান্নায় স্বাদ আনার পাশাপাশি তেজপাতা রোগ সারাতেও তেজি হাতিয়ার।
তেজপাতা অরুচি দূর করে। তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই জল খাওয়ার চল আছে। মাথাব্যথা বা মাথাধরা দূর করার জন্য লবঙ্গ ও তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ারও প্রচলন আছে কোথাও কোথাও। মাড়িতে ব্যথা কিংবা ক্ষত হলে তেজপাতা–সেদ্ধ জলে অল্প পরিমাণ নুন মিশিয়ে গার্গল করা যায়।
তেজপাতায় জৈব যৌগের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্ট মজবুত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৩০ দিন ১ থেকে ৩ গ্রাম তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরল পরিমাণ কমে।
তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি বাড়াতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়।
তেজপাতায় রয়েছে এমন জৈব যৌগ, যা পেটের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) বা অন্ত্রের সমস্যায় তেজপাতা খুব কার্যকর। তেজপাতায় বিশেষ এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে, যা খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। পেটফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা সারাতে পারে তেজপাতা।
অনেক সময় শরীর জটিল প্রোটিন সহজে হজম করতে পারে না, তেজপাতা তা হজমে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের ক্ষত নিরাময়ে তেজপাতা অতুলনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে ও কাটা, ছড়া, ঘা সারাতেও অত্যন্ত দরকারী।
তেজপাতা সেদ্ধ জল বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।