বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব শুরু হতে আর হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে জোর কদমে শুরু হয়ে গেছে পুজোর প্রস্তুতি। নাভিশ্বাস ছুটে যাচ্ছে প্রতিটা ক্লাবের পুজো কমিটির সদস্যদের।
সকলেই মনে এক চিন্তা, এবছর যেন মায়ের আগমণে প্রচুর লোক জড়ো হোক তাদের প্যান্ডেলে। আর তা থেকে বাদ যায় না বাসুদেবপুর সংগঠনী অ্যাথলেটিক ক্লাব।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল বাসুদেবপুর সংগঠনী অ্যাথলেটিক ক্লাব। সঞ্চালক ইকেবানার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদিকা সোনিয়া চক্রবর্তী এবং যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ গৌতম কাঞ্জিলাল। গত ৬০ বছর ধরে বাসুদেবপুর সংগঠনী অ্যাথলেটিক ক্লাব নিষ্ঠা সহকারে সাবেকি পুজো করে এসেছে, আর এইবছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। কিন্তু থিমের পুজোর ভিড়ে তাদের সাবেকি প্যান্ডেলে মানুষ কেন আসবে? প্রশ্ন তো থেকেই যায়। আসলে তাদের পুজোর মূল আকর্ষণ হল তাদের প্রতিমা। প্রতি বছরই বেশ বড় আকারের প্রতিমা তৈরি করে থাকেন তারা। আর এই বছর ১৬ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবেন তারা।
চতুর্থীর দিন উদ্বোধন হতে চলেছে এই ক্লাবের পুজো। সেইদিন পাড়ার সকলকে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। এরপর নবমীতে ভোগ প্রদান করা হবে সকলের উদ্দেশ্যে। আর দশমীর পর বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষ্যে আরও কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে। বাসুদেবপুর সংগঠনী অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো দেখতে গেলে দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রো ধরে নামতে হবে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে সরশুনা যাওয়ার কোনও বাস ধরে নামতে হবে বকুলতলা স্টপেজে। নেমে কিছুটা হাটলেই পেয়ে যাবেন তাদের পুজো।