শ্যামার গানে চোখ মেলল বসন্ত চৌধুরী

মিরাকেল ঘটল অবশেষে। বসন্ত চৌধুরীর জীবন আশঙ্কাজনক তা সকলেই জানে। কিছুতেই তার জ্ঞান ফিরছে না। ডাক্তারেরা রয়েছে মিরাকেলের অপেক্ষায়। ওদিকে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে দিশা আর রুক্মিণী। প্রতিবারের মতো এবারেও ব্যর্থ হল তারা। কৃষ্ণচরণের বানানো টোটকা খাইয়ে বহাল তবিয়তে অনুষ্ঠান সেরে ফেলল রেডিও জকি কৃষ্ণকলি। স্বাভাবিকভাবেই সকলের প্রসংসা পেল সে। রুক্মিণী এই ঘটনার পর অবাক হয়ে যায়। তার মাথায় ইতিমধ্যেই ঘুরতে শুরু করেছে আরও একটা প্ল্যান। কী সেই প্ল্যান?  জানা যাবে ধারাবাহিকের গল্পে। 

এরই মাঝে নিখিল হাসপাতালে বাবার কেবিনে পৌঁছে যায় ফোনে তাকে শ্যামার গান শোনাবে বলে। আর এই কাজে সে দারুণভাবে সফলও হয়। শ্যামার গান শুনে জ্ঞান ফেরে বসন্ত চৌধুরীর। সে নিখিলকে ঝাপসা দেখতেও পায়। কেবিনের বাইরে সুজাতারা এই খবর পেয়ে চমকে ওঠে। এমন মিরাকেলও সম্ভব! এবার কী করবে সুজাতা? আরও একবার যে সে ঋণী হয়ে গেল তার ছোট বউমা শ্যামার কাছে। এদিকে নিজের ছেলের মঙ্গল কামনায় শ্যামাকে সে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। নিখিলও অবশ্য হাত ধরেছে শ্যামার। এবার কী তা হলে আদরের ছোট ছেলে এবং ছোট বউমাকে ঘরে ফিরিয়ে আনবে সে? নাকি এবারও মন গলবে না তার? অপেক্ষা আরও এক কঠিন পরীক্ষার। এই সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ১ থেকে ৬ জুলাইয়ের এপিসোডগুলিতে।

প্রসঙ্গত, টি আর পি’র কাঁটা অনেকদিন ধরেই উচ্চগামী এই ধারাবাহিকের। একে টেক্কা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না কারোরই। অন্যান্য ধারাবাহিকগুলির অবস্থান বদল হলেও হচ্ছে না এই ধারাবাহিকের। প্রতি পর্বে থাকছে চমক। শাশুড়ি-বউমার চেনা কেমিস্ট্রি হলেও নিবেদনের ঢঙে আছে অন্য রঙ। ভিলেন এখানে দুজন। সাধারণত কোনও ধারাবাহিকে সমান সমান অ্যান্টাগনিস্ট নজরে পড়ে না। কিন্তু দিশা এবং রুক্মিণী দুজনের চাহিদা আলাদা। তারা দুজনে দুই ভিন্ন কারণে শ্যামাকে সরাতে চায় চৌধুরী বাড়ি থেকে। দুজনের লক্ষ্যপথ যেহেতু এক তাই একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। আর তা উপভোগ করছেন দর্শক।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...