গতবছর বেহালার বুকে আন্দামান-কে টেনে আনার ফলে প্রচুর খ্যাতি লাভ করে এই ক্লাব। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কোন থেকে বহু দর্শনার্থী ভিড় করেছিল তাদের পুজো দেখতে। তার হলেন প্রাচীন কলকাতার ঐতিহ্য মন্ডিত এলাকা বড়িষার বিখ্যাত পুজো বড়িষা সার্বজনীন।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিও-এ উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের অন্যতম কর্মাধক্ষ সুদীপ চক্রবর্তী, দুই জন সাধারণ সদস্য তন্ময় চ্যাটার্জী ও দীপ ব্যানার্জী।
সঞ্চালক রিয়ার সাথে জেনে নিলাম বাংলার এই প্রচীন এলাকার পুজোর বিষয়। ৭১ তম বর্ষে তাদের থিম “পালক”। পালক বলতে প্রথমে মনে হতেই পারে যে পাখির পালকের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু তা নয় এখানে ‘পালক’ বলতে লালন পালন কর্তার কথা বলা হয়েছে, বলে জানান ক্লাব সদস্য। তাকেই ‘পালক’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার ভাবনায় সেজে উঠছে তাদের পূজা মন্ডপে। লোহা, নারকেল পাতা, হোগলা পাতার ব্যাবহার করা হয়েছে মন্ডপ তৈরী করতে। থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরী হচ্ছে প্রতিমা। উদ্বোধনের দিন ১ শত দুঃস্থশিশুদের জন্য বস্ত্র বিতরণ করা হয়। প্যান্ডেলের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট আর চালচিত্র নিয়ে ঠাকুরের উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। মন্ডপের আবহ সাথে সমন্বয় রাখতে থিম মিউজিকের দায়িত্বে আছেন শিল্পী কল্যাণ সেন বরাট। বেহালার একটি ব্যস্ততম জায়গায় পূজা হওয়ার দরুণ প্রতি বছর লক্ষ্যাধিক মানুষ ভিড় করে বড়িষা সার্বজনীনের পুজো দেখতে।
অষ্টমীতে পূজা কমিটির তরফ থেকে প্রায় ৪ হাজার মানুষের জন্য ভোগ রান্না করা হয়। দমদম বা কবি সুভাষ-গামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে মহানায়ক উত্তম কুমার, সেখান থেকে বাস বা অটো ধরে সখেরবাজার মোড়-এর নিকট এই পূজা মন্ডপ।