অ্যাথলেটিক বিলবাও – ১ (আরিৎজ আদুরিজ)
বার্সেলোনা – ০
এবারের মরশুমে বিশ্বের যত সেরা দল রয়েছে, তাদের মধ্যে বার্সেলোনাকে এগিয়ে রেখেছিল অধিকাংশ ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাদের যাবতীয় আশাকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল লা লিগায় বার্সেলোনার প্রথম ম্যাচের খেলা। সুযোগ নষ্টের খেলায় মেতে থাকা বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত বিলবাওয়ের ঘরের ছেলে আরিৎজ আদুরিজ-এর শেষ মুহুর্তের গোলে হার মানল। আর তার সাথে আবারও প্রমাণ করল, দল যতই সেরা হোক না কেন, বার্সেলোনায় যদি লিওনেল মেসি না থাকে তাহলে বারংবার তাদের ভুগতে হতে পারে।
এদিন বার্সেলোনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ের ম্যাচে অভিষেক করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে আসা আঁতোয়া গ্রিজম্যান এবং আয়াক্স থেকে আগত ফ্রেঙ্কি ডে জং-এর। কিন্তু এদিন তারা তাদের সেরা খেলাটি প্রদান করতে ব্যার্থ হন।
শুরুর দিকে বার্সেলোনা তাদের স্বভাবচিত পজেশনাল ফুটবল খেলতে পারছিল না, সৌজন্যে বিলবাও-এর খেলোয়াড়দের গতি। ৭ ও ১৫ মিনিটে উইলিয়ামের শট আটকে দেন বার্সার গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকে বার্সেলোনা। ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল কাতালানের এই দল। বিলবাও-এর ডিফেন্ডার লোপেজ এর ভুল পাস ধরে সুয়ারেজ শট মারেন পোস্টে। ৪২ মিনিটে রাফিনহার দুর্ধর্ষ শট বাঁচান বিলবাও-এর গোলকিপার সিমোন। প্রথমার্ধ অবধি গোলশূন্য অবস্থায় থেকে খেলা শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও তুল্যমূল্য লড়াই চালিয়ে যায় দুই দলই। ৭০ মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। জায়গা পেয়ে রাকিটিচ শট মারলে তা একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। ম্যাচ যখন ধরে নেওয়াই হচ্ছিল যে ড্রয়ের দিকে যাবে, তখনই পরিবর্ত হিসেবে নেমে চমক দেন পোড়খাওয়া স্ট্রাইকার আরিৎজ আদুরিজ। ৮৯ মিনিটে ক্রস পেয়ে দুর্ধর্ষ বাইসাইকেল কিকে পরাস্ত করেন টের স্টেগেনকে। একেবারে শেষ মুহুর্তের গোল পেয়ে উল্লসে ফেটে পড়ে মাঠের ৪৪ হাজার দর্শক।
তবে বার্সার পক্ষে আরও একটি খারাপ খবর হিসেবে দেখা দিল দলের প্রধান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের চোট। সেই চোট কতটা গুরুতর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে, এমনটাই বলছেন দলের মেডিকাল স্টাফ। এরপর ২৬ আগস্ট ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনা তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে রিয়াল বেটিস-এর বিরুদ্ধে।