বরানগর মাতৃ মন্দির | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

ভারি বিচিত্র কলকাতার দুর্গা পুজো, একদিকে যখন সেরার সেরা দৌড়ে টিকে থাকার জন্য এমন অনেক ক্লাব বা পূজা কমিটি আছে যারা শুধুমাত্র প্রচুর দর্শনার্থী টানতে সাবেকি ছেড়ে থিম পুজোয় প্রবেশ করেছে, অন্যদিকে এমন কিছু ক্লাব বা পূজা কমিটি আছে যারা বছরের পর বছর ধরে শুধুই সাবেকিয়ানার ওপর ভরসা করে পেরিয়ে এসেছে অনেকগুলি বছর। তেমনই একটি ক্লাব হল বরানগর মাতৃ মন্দির। যারা ৯২ বছর হয়ে গেল এখনও সাবেকি প্রথাকে মেনেই মায়ের আরাধনা করে আসছে, এবার ৯৩ বছর পূর্তি।

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন সেই ক্লাবের সম্পাদক পল্লব ঘোষ, সহ-সম্পাদক সুনন্দ ব্যানার্জী ও সাধারণ সদস্য সাবর্ণো লাহা। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে আমরাও জেনে নিলাম তাদের পুজোর বিষয়।

এইবছর ৯৩ তম বর্ষে প্রতিমার তৈরীর দায়িত্বে আছেন শিল্পী তাপস নাগ। ৯৩ বছর ধরে সাবেকি পুজো করাটা সহজ কথা ছিল না বলেও জানান তারা। তার কারণ বর্তমান প্রজন্ম এই সাবকি পুজো কে মেনে নিতে পারে না, তাদের মতে থিম পুজো করলে তবেই কলকাতার মানচিত্রে রেখাপাত করা যাবে, এই কথাটা ভুল প্রমান করতেই তাঁরা এই সবেকিয়ানাই ধরে রেখেছেন| শুধু ৯৩ বছর নয়, তার আগে থেকে তাদের গুরুজনরা এই পুজো করে আসছেন, তবে লিখিতভাবে তাদের ৯৩ বর্ষ পূর্তি| 

অষ্টমীতে কুমারি পুজোর পাশাপাশি, সকল পল্লীবাসীদের জন্য থাকে পোংতিভোজনের আয়োজন। নবমীতে কুইজ কন্টেস্টের পাশাপাশি পাড়ার সকল মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও করা হয় বলে জানান তারা। দশমীতে কনকাঞ্জলীর ও সিঁদুর খেলার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় মা কে।  

দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো, সেখান থেকে বাস ধরে বরাহনগর স্টপেজের নিকট এই পূজা মন্ডপ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...