ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ শুরু হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি আছে, তবে তার আগে যে বাংলাদেশ ভারতের মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করবে তা হয়ত ভাবতেও পারেনি ক্রিকেট প্রেমীরা, বিশেষত ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা। সোমবার, দিল্লীর ধোয়াশাচ্ছন্ন অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে তর্ক বিতর্ক থাকলেও, গন্তব্যস্থলের কোনও পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। দিল্লি প্রশাসনের তরফ থেকে ‘এমারজেন্সি’ ঘোষণা করা হলেও, ম্যাচ বন্ধ ছিল না। আর সেই ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ। এর আগে ভারত ৮ বার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের, প্রতিবারই ম্যাচের ফলাফল যায় ভারতের পক্ষে। এদিনও টানা ৯টি ম্যাচে জয় পাওয়ার আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। টসে জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ হওয়ার ফলে, স্বভাবতই প্রথমে ব্যাট পেয়ে খুশি হন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু সেই খুশি এক পলকে দুঃখে পরিণত হয় যখন ৫ বলে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। ম্যাচের দায়িত্ব এসে পড়ে দ্বিতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুলের উপর। রাহুল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেও, বেশিক্ষণ পিচে টিকতে পারে নি। তিনি ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় ম্যাচের ভার এসে পড়ে শ্রেয়াস আইয়ার ও তরুণ উইকেটরক্ষোক ঋষভ পন্তের ওপর। তবে বাংলাদেশের বেলাররা কাউকেই তেমনভাবে পিচে টিকে থাকতে দেয় নি। প্রচুর উইকেট না পেলেও, তাদের ‘ডিসিপ্লিন্ড’- বোলিংয়ের যোগ্য জবাব দিতে ব্যার্থ হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। তাই ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই লিটন দাসের উইকেট পেয়ে গেলেও, মুশফিকুর রহিম আর সৌম্য সরকারের ছক-টা ছিল অন্যরকম। প্রতিপক্ষোর, একটু দুর্বল বোলারদের টার্গেট করেন তাঁরা। তাই খলিল আহমেদ বল করতে আসলে, তার ওভারে রান তুলে নিয়ে, যুজবেন্দ্র চ্যাহালকে দেখে খেলছিলেন তারা। আর এই ছক কার্যকরী প্রমাণিতও হয়। ফলে প্রয়োজনীয় রানরেট কে কখনোই ৮রানের ওপর উঠতে দেয় নি। তাই ১৯.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪৩ বলে অপরাজিত ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা মুশফিকুর রহিম।বৃহস্পতিবার, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়ান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই প্রতিপক্ষ।