প্লাস্টিক এড়াতে বাঁশের ব্যবহার

মানুষের সচেতনার হার ক্রমবর্ধমান –বর্তমান সময়ের নিরিখে দাঁড়িয়ে একথা বললে নেহাত অত্যুক্তি হয় না। প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে জীবন ধারা। তবে এই বদলাতে থাকা জীবনধারা এবং ক্রমবর্ধমান সচেতনার মধ্যে যেমন সুফল রয়েছে, তেমনই অন্তর্নিহিত রয়ে গিয়েছে কিছু কুফলও।  

কিছু জিনিস ব্যবহারে কুফল থাকা সত্ত্বেও নিজ সুবিধার্থে চোখ বন্ধ করে মানুষ সেগুলি ব্যবহার করে আসছেন। আর তার মধ্যে যে ক্ষতিকারক বস্তুটি সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয় তা হল ‘প্লাস্টিক’। এখনও পর্যন্ত দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে রয়েছে প্লাস্টিক।

ফুড প্যেকেজিং বা জলের বোতল এর ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, অথচ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এগুলিই। প্লাস্টিক শুধু জনজীবনের জন্যই নয় পরিবেশ এবং গোটা জীবকুলের পক্ষেই এর প্রভাব মারাত্মক। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়ানোর জন্য বিকল্প প্রয়াস নিলেন অসমের এক শিল্পপতি ধৃতিমান বরা

FotoJet (117)

প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়া বন্ধ করার জন্য বাঁশের তৈরী জলের বোতলের সন্ধান দিয়েছেন এই শিল্পপতি। বাড়িতে কিংবা বাইরে আমরা জল খাওয়ার জন্য  সাধারণত প্লাস্টিকের বোতলই ব্যবহার করে থাকি। এর এত বিপুল গ্রহনযোগ্যতার নেপথ্যে রয়েছে স্বল্প মুল্য এবং বহুদিন টিকে যাওয়ার সুবিধা। কিন্তু প্লাস্টিক-‘সভ্যতা’র আগে জল ধারণ অথবা খাওয়ার জন্য মাটি, কাঁচ এবং ধাতুর তৈরী পাত্রের প্রচলন ছিল। তবে ‘প্লাস্টিক’-এর কুপ্রভাব সম্বন্ধে সচেতনতামূলক বার্তার প্রভাবে বর্তমানে ফের ব্যবহার বাড়ছে মাটি-কাঁচ-ধাতু-র। এবার ধৃতিমান এর সঙ্গে যোগ করলেন তাঁর নয়া আবিষ্কার।    

পরিবেশ দূষণ রদ করা ও মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ধৃতিমানের এই নতুন পরিকল্পনা। যেহেতু অসমে বাঁশ খুব সহজলভ্য তাই সহজেই বানানো সম্ভব হয়েছে বাঁশের তৈরী জলের বোতল। এই অভিনব জলের বোতল দেশের সর্বত্র পৌঁছে দিতে চান তিনি।

এই বোতল গুলি থেকে যাতে কোনও ভাবে জল না পড়ে যায় সেই জন্য বোতল গুলির মুখে কর্ক-এর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ঘরে ও বাইরে যেকোন জায়গায় এই বাঁশের তৈরী বোতল নিয়ে যাওয়া সহজ হবে বলেই জানিয়েছেন। বোতল গুলির ধার্য্য করা হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন মাপ ও ডিজাইনের সম্ভার

FotoJet (118)

আপাতত অসমের বাজারেই এই বোতল গুলি পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু বোতল গুলি বাঁশের তৈরী তাই স্বাস্থ্যের দিক থেকেও ক্ষতির কোনওরকম আশঙ্কা থাকছে না। পরিতক্ত প্ল্যাস্টিক থেকে যে পরিমাণে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, এ ক্ষেত্রে সে আশঙ্কাও নেই। তাই বলাই যায় সবদিক থেকেই বাঁশের তৈরী এই জলের বোতল এক অভিনব আবিষ্কার। আশা করা যায় ভবিষ্যতে দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে যাবে এর ব্যবহার।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...