বালি থেকে ব্যান্ডেল

আমাদের সমাজে এমন কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যা জানলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন।নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবার বালি থেকে হেঁটে এসে ব্যান্ডেল চার্চে প্রার্থনা জানালে নাকি মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস বলেন, শুধু খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীরাই নন, অন্যান্য ধর্মের মানুষও আসেন এখানে প্রার্থনা করতে। এদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষ প্রায় ২৮ কিমি পথ হেঁটে এসে যীশু ও মাতা মেরির কাছে কেউ মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজের মনোস্কামনা জানান, কেউ আবার মানসিক পূর্ণ হওয়ায় দন্ডি কেটে চার্চ এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। প্রতি বছর খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীরা 'ব্যাপ্টিজম অফ জিসাস' পালন করেন। এই দিনে অনেকেই মাতা মেরির কাছে মানত করেন। বিশ্বাস, এদিন মাতার কাছে যা চাওয়া হবে, তাই পাওয়া যাবে। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। প্রথমে শুধুমাত্র খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীরা এই প্রথা পালন করলেও এখন যে কোনো ধর্মাবলম্বীর মানুষ আনন্দ সহকারে এই উৎসবে অংশ নেন। বালি থেকে ব্যান্ডেল হেঁটে আসতে হয় বলে এই পথ অতিক্রম করাকে বলে 'বালি ওয়াক'।

      এইভাবে সর্বধর্মসমন্বয়ের এক সুন্দর দৃশ্য উঠে আসে এই পরম্পরার মধ্যে দিয়ে। তাই শীতের সকালে নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবার এই রাস্তায় হেঁটে প্রার্থনা জানিয়ে যদি নিজের মনোস্কামনা পূরণ করেত চান, পরের বার চলেই আসতে পারেন বালিতে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...