বৃহস্পতি বার খুলে দেওয়া হল বাগরি মার্কেটের বেশির ভাগ অংশ। আগুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। তাই শুরু থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মার্কেট বিল্ডিং এর ছাদে বসানো হয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। সাজানো হয়েছে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক লক্ষ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জলের ট্যাঙ্কে জল তোলার জন্য বসান হয়েছে চারটি নতুন পাইপ। উপরের জলাধারের জল যাতে বাজারের সব অংশে সহজে যেতে পারে, তার জন্য আট ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত পাইপলাইনও বসানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলাধার সহ আরও বেশ কিছু কাজ আগামী ছ’মাসের মধ্যে করে ফেলা হবে বলে ১৭ এপ্রিল দমকল দপ্তরের কাছে লিখিত ঘোষণাপত্র দেন ব্যবসায়ীরা। তারপরই শর্ত সাপেক্ষে ছাড়পত্র মেলে।
অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। মার্কেটের প্রতিটি দোকানে আলাদা আলাদা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়েছে। আছে স্মোক ডিটেক্টর ও স্প্রিঙ্কলারও।
১৪ টা ট্যাঙ্ক বসান হয়েছে। জল নিরাপত্তার প্রয়োজনে জল এলাকার অন্যত্রও নেওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ‘এ’ ব্লক অবশ্য এখনও সেই তিমিরেই। বাগরি মার্কেটে রয়েছে মোট ৯৫৭টি দোকান। সরকারি নিয়মকানুন মেনে ‘এ’ ব্লকের প্রায় ১৩০টি দোকান চালু করতে আরও ছ’মাস সময় লেগে যাবে বলে মনে করছে এখানকার ব্যবসায়ীদের সংগঠন। এদিন বাগরি মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ডি, ই, এফ ব্লক খুলে দেওয়া হয়েছে। বি, সি, জি এবং এইচ ব্লকের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হওয়ায় এই অংশের দোকানগুলি কিছুদিন আগেই চালু করে দেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বাগরি মার্কেটের একটা বড় অংশ। ফিরে এসেছিল নন্দরাম মার্কেটের স্মৃতি। জতুগৃহে পরিণত হয় ৬ তলা বাড়িটি। একতলা থেকে ৬ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় চাপান-উতোর।
ধবংসের অতীত যাতে আর ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা করছেন বাগরি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।