বাঘাযতীন বি অ্যান্ড সি ব্লক দুর্গোৎসব কমিটি | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার পুজোর আড্ডা@জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘাযতীন বি অ্যান্ড সি ব্লক দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালক রাহুলের সাথে আড্ডার ছলে তারা ভাগ করে নিলেন তাদের পুজো সম্পর্কে নানাকথা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শুভঙ্কর দত্ত, শ্রী অনিক ভট্টাচার্য্য এবং শ্রী আকাশ সরকার। তারা জানালেন, এইবছর তাদের ক্লাবের পুজো পদার্পন করলো ৬৯তম বর্ষে। ক্লাবের থিমকে যদিও তারা এখনই স্পষ্ট ভাবে না জানালেও, এই ক্লাবের এই বছরের থিমের নাম হচ্ছে 'আরণ্যা'। শিল্পী দেবজ্যোতি জানার হাত ধরে একটু একটু করে গড়ে উঠছে মণ্ডপ। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক ক্লাবের আবহ সংগীতে কোনো গান বা মিউজিক থাকলেও সম্পূর্ণ অন্যধারায় হাঁটতে চলেছে এই ক্লাব। তাদের আবহ সংগীত হিসেবে থাকছে কবিতা পাঠ।

ক্লাবের ইতিহাসের কথা জানাতে গিয়ে তারা জানালেন, ১৯৯৯ সাল যখন কলকাতার বুকে সবে সবে জন্ম নিচ্ছে থিম পুজো সেই সময় থেকেই থিম পুজো করা শুরু করে এই ক্লাব। অনেকদিন আগে থেকে থিম পুজো শুরু করলেও গত তিন বছর ধরে স্পটলাইটে এসেছে এই ক্লাব। বাঘাযতীন মোড়ের সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতিবছর দর্শনার্থীর ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থীর মধ্যে থাকেন প্রচুর বৃদ্ধ মানুষ এবং বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ। তাদের জন্য হুইলচেয়ারের পাশাপাশি তাদের সেবার্থে থাকছে প্রচুর ভলেন্টিয়ার। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর সময় প্রশাসনের তরফ থেকেও যথেষ্ট সাহায্য পাওয়া যায়। পুজোর সময় প্রতিবছর দুইদিন করে ভোগের আয়োজন করা হয়। অষ্টমীতে নিরামিষ ভোগ হলেও নবমীতে আমিষ ভোগের বন্দোবস্ত থাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে। পুজোর রীতি মেনে দশমীর দিনই প্রতিমা নিরঞ্জন করে থাকে এই ক্লাব। পুজো ছাড়াও এই ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির প্রভৃতি। জিয়ো বাংলা এই পুজোর আরও খুঁটিনাটি জানতে নিশ্চই পৌঁছে যাবে এই ক্লাবে| কি থিম তারা উপহার দিতে চলেছেন তা জানতে হলে সকলকে পৌঁছে যেতেই হবে বাঘাযতীন বি অ্যান্ড সি ব্লক দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপে দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরবর মেট্রো, সেখান থেকে প্রিন্স আনওয়ার শাহ মোড় থেকে বাসে করে বাঘাযতীন মোড়ের নিকট এই পূজা মন্ডপ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...