আধুনিকতা মানুষকে বিষিয়ে তোলে।মতামতে ইন্দোনেশিয়ার এক উপজাতি।আধুনিক যা কিছু সবই নিষিদ্ধ সেখানে। মোবাইল কী বস্তু, তাও জানেননা তারা।আদিমতার মাঝেই দিন যাপন তাদের। প্রাণের হদিস মেলে সেখানেই। গুজরান হয় প্রকৃতির আলোকে। নেই কোনও বিদ্যুৎ এর সুবিধা।দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে যেতে হয় রাজধানীতে। সময় লেগে যায় প্রায় তিন দিন।জায়গার নাম জাকার্তা।
ওরা হলো বাদুই। আদিমতা যাদের রক্তে বইছে।আজও।একটা সময় পর্যন্ত বন্ধ ছিল আধুনিক শিক্ষার সমস্ত রাস্তা।যদিও আজকের প্রজন্ম সেইরকম কিছু সাঁকো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।আজকের জনগোষ্ঠী দুই ভাগে বিভক্ত। কারণ মতানৈক্য। যারা পুরনো কে আঁকরে বাঁচছেন, তারা ' পবিত্র '। অন্যদল নিয়মে আগ্রহী নয়।এদের প্রতিনিধিরাই মোবাইল হাতে তুলেছেন। আধুনিক ছন্দে মেলাচ্ছেন পা। রয়েছে দূরদর্শন।অর্থনীতিতে এরা পিছিয়ে রয়েছে। মতামত সভ্যদের। তবে প্রকৃত জীবন যাপনের সুখ নাকি এই রীতিতেই, বিশ্বাস করেন এটাও।
পবিত্র -দের মতে ঐতিহ্য কে ধরে রাখতেই তারা আধুনিকতা কে বর্জন করেছেন। তাদের এই ঐতিহাসিক মতামত আজকের শতকে কতটা গ্রহণ ও সমর্থন যোগ্য, সেই বিবাদে হতে পারে যুক্তির ঠান্ডা লড়াই।ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশের লিবাক রেজেন্সিতে বাদুইদের বসবাস। বাদুই ছাড়াও তারা স্থানীয়ভাবে সুন্দা ও কেনিকিস নামে পরিচিত। বাদুই নামটি মূলত ডাচ গবেষকদের আরোপিত নাম।
তবে অনেকের ধারণা, এই নামটি পার্শ্ববর্তী বাদুই নদী অথবা বাদুই পর্বত থেকে এসেছে। কিন্তু বাদুইরা সব সময় নিজেদের কেনিকিস নামেই পরিচয় দেন। কেনিকিস মূলত তাদের আবাসভূমি, যা কেনডিং পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত একটি গ্রাম।পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এই জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা। ভাষার নাম সুন্দানিজ। আলাদা ক্যালেন্ডারও রয়েছে তাদের।মহীনের ঘোড়াগুলি- র সেই অবিস্মরণীয় গানটা মনে পড়ে। পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে স্যাটেলাইট আর কেবলের তারে বন্দী। এই দর্শন বাদুই দের ক্ষেত্রে আদপেও খাটে না।আদিমতা নিয়েও তারা স্বাধীন।তাদের ছন্দে।