আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানারকম কাজ করে থাকি কিন্তু কাজের মাঝেই যেই একটু সময় পাই ফোনে ভিডিও দেখি বা গেম খেলতে শুরু করে দিই| আর সোশ্যাল মিডিয়ার কথাই তো আলাদা, দিনে যতটা সময় আমরা পাই নিজেদের জন্য তার বেশিরভাগটাই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইউটিউবে কেটে যায়| আমরা বাস, ট্রেন, মেট্রো, অটো, টোটো বা রিক্সাতে যেকোনো লোককে যদি একটু খেয়াল করি দেখা যাবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই পাশের জনের সাথে কথা না বলে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করে| কেউ কেউ তো রাস্তায় চলাকালীনও ফোনের দিকে তাকিয়ে কিছু খুটখুট করতে করতে হাঁটে| এইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তেই পারে যা প্রায়শই শোনা যায়।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় যা জানা গেছে, তা শুনলে আপনিও হোঁচট খাবেন। বিদেশে হওয়া গবেষণা থেকে জানা যায় মানুষের বেশিক্ষণ ঘাড় নিচু করে ফোনে বা ল্যাপটপে কাজ করতে করতে মস্তিষ্ক ও ঘাড়ের সংলগ্ন অংশে হাড় বৃদ্ধি পেয়ে পাখির ঠোঁটের মত উঁচু হয়ে যেতে পারে| এটি শিং এর মত দেখতে তাই এটিকে বিদেশে ‘ফোন বোনস’ বা ‘হেড হর্ন’ বলে সম্বোধন করা হচ্ছে|
সূত্রের খবর, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সানশাইন কোস্ট এ হওয়া গবেষণা থেকে এই তথ্যটি পাওয়া যায়| সেখানের বিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের কাঁধের সম্পূর্ণ ভার পড়া উচিত মেরুদন্ডের ওপর, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু ভুল ক্রিয়ার ফলে, যেমন একটানা ফোন বা ল্যাপটপের দিকে তকিয়ে থাকার অভ্যাসে ওই ভার মাথা ও ঘাড়ের পিছনের দিকে পড়তে পারে এতে মানবদেহে শিং এর মত বিকৃতি ঘটতে পারে| যা আমাদের বর্তমান শরীরের হাড়ের গঠন পরিবর্তন করতে সক্ষম| ভয় পাবেন না, জেনে নিন কিভাবে এই শিং হওয়ার পরিবর্তন থেকে দূরে থাকবেন?
যদি আপনি এইরকম কোনো পরিবর্তন আপনার শরীরে না চান তাহলে ১০ মিনিটের বেশি একটানা ঘাড় নিচু করে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, মাঝে মাঝে ফিজিওথেরাপিস্ট বা চিকিৎসকের কাছ থেকে কিছু ঘাড়ের বা গলার ব্যায়াম জেনে নিয়ে প্রাকটিস করুন আর পারলে ফোন বা ল্যাপটপটি কে চোখের সোজাসুজি রেখে ভিডিও বা মুভি দেখুন| এতে আপনার ঘাড়ের ভার মেরুদন্ডের ওপর পড়বে আর শিং ও গজাবে না|