আজ আমাদের এই বসুন্ধরা, যেখানে বসবাসকারী মানুষেরা দিনভর লেগে ইদুর দৌড়ে, আর নগরায়ণের হঠাৎ উৎপত্তিতে, তারা রয়েছে খুবই কষ্টে। আর তার সাথে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণের সবুজায়ন। সদ্যই আমাজন জঙ্গল আগুনে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আজও পৃথিবীতে বিরাট নগরায়নের মাঝেও সবুজের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেটিই নিজেদের পুজোয় সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে চলেছে আজাদগড় সেবক সংঘ। ‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় হাজির হয়েছিল আজাদগড় সেবক সংঘের সদস্যরা। জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে সঞ্চালক ইপ্সিতার সাথে নিজেদের পুজোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন ক্লাবের সাবস্ক্রিপশন ইন চার্জ সঞ্জয় সমাদ্দার ও মিডিয়া আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। তাদের ৭০তম বর্ষে থিম পুজোর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে আজাদগড় সেবক সংঘ। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘তুমি আছো তাই আমরা আছি’। অর্থাৎ আজ এই সবুজায়ন আছে বলেই মানবসভ্যতা প্রাণ ভরে অক্সিজেন নিতে পারে, বাঁচতে পারে, জীবনসংগ্রামে লড়তে পারে।
এই বছর পঞ্চমীতে নিজেদের পুজোর উদ্বোধন করতে চলেছে আজাদগড় সেবক সংঘ। আর প্রতি বছরের মত এই বছরেও দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ কার্যকলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তাদের পরিশ্রমের এই দূর্গাপুজো সাধারণ দর্শনার্থীদের কেমন লাগলো তা জানানোর জন্য একটি ‘ফিডব্যাক বক্স’ বসাবে ক্লাবের সদস্যরা, যেখানে দর্শনার্থীরা তাদের মতামত কাগজে লিখে তা বক্সে ফেলবে। আর পাড়ার পুজোয় ভোগ তো চাইই চাই। আর তাই নবমীর দুপুরে পাড়ার সকলকে নিয়ে একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করে আজাদগড় সেবক সংঘ। মেনুও বেশ ভাল, শুনলে জিভে জল আসবেই। পোলাও কিংবা ফ্রায়েড রাইসের সাথে আলুরদম ও পনিরের তরকারি, আর শেষপাতে চাটনি-পাঁপড়-মিষ্টি। তাহলে দক্ষিণ কলকাতায় পুজো দেখতে গেলে আসতেই হবে আজাদগড় সেবক সংঘ। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রো ধরে মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) মেট্রো স্টেশনে নেমে গড়িয়াগামী কোনও বাস বা অটো ধরে নামতে হবে আজাদগড়ে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌঁছে যাবেন পুজো মন্ডপে। তাহলে দেরি কিসের, লিখে ফেলুন পুজো পরিক্রমায় আজাদগড় সেবক সংঘের নাম।