উত্তর কলকাতা মানেই আদি কলকাতা। আর আদি কলকাতার সবথেকে বড় মূলধন হল তার ঐতিহ্য। আজকের দিনে যখন সকল দূর্গোৎসব কমিটি থিমের দিকেই মূল নজর, তখন ব্যতিক্রম হিসেবে দাঁড়িয়েছে আজাদ হিন্দ বাগ সার্বজনীন দূর্গোৎসব সমিতি। সাবেকিয়ানায় আজও নিজেদের পুজোকে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর তারা।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় হাজির হয়েছিল আজাদ হিন্দ বাগ সার্বজনীন দূর্গোৎসব সমিতির সদস্যরা। জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে সঞ্চালক ইপ্সিতার সাথে নিজেদের সাবেকি পুজো নিয়ে আড্ডা দিলেন সমিতির প্রেসিডেন্ট পরেশনাথ চ্যাটার্জি, সম্পাদক শ্যামল দাস ও কোষাধ্যক্ষ অংশুমান মুখার্জি।
দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরেও থিমের আধুনিকতায় কখনই পা বাড়াননি আজাদ হিন্দ বাগ সার্বজনীন দূর্গোৎসব সমিতি। যা নিঃসন্দেহে আজকের দিনের থিমের ভিড়ে অভিনব বটেই। মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদে উদ্বোধন হবে তাদের সাবেকি পুজোর। আর তাদের পুজোর বিশেষত্ব এই যে ৯জন কুমারীকে নিয়ে কুমারী পুজোর আয়োজন করে থাকে এই সমিতি, যা সম্ভবত কলকাতার বুকে খুবই কম। আর এই পুজো দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে বাঙালীরা ছুটে আসেন। পুজোর প্রতিটি দিনেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে সমিতির সদস্যরা। কোনও কোনও দিন আবার বিশিষ্ট ব্যক্তি কিংবা রাজনীতিবিদদের ভিড়ে একেবারে চাঁদেরহাট বসে তাদের পুজো মন্ডপে।
আর যদি ভোগের কথায় আসা যায় তাহলে একেবারে এলাহী আয়োজন করে থাকে আজাদ হিন্দ বাগ সার্বজনীন দূর্গোৎসব সমিতি। নবমীতে ভাত, পোলাও, কিংবা খিচুরি থাকে সাথে সবজির তরকারি কিংবা আলুভাজা, আর শেষ পাতে চাটনি-পাঁপড়-রসগোল্লা। শুধু পাড়ার নয়, বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করেন নবমীর দিন, মায়ের ভোগ পাওয়ার জন্য। আপনিও নিশ্চই আসতে চাইবেন এখানে? তাহলে প্ল্যানিং সেরে ফেলুন। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পেয়ে যাবেন হেদুয়া পার্ক। সেই হেদুয়া পার্কেই নিজেদের পুজো করে থাকে আজাদ হিন্দ বাগ সার্বজনীন দূর্গোৎসব সমিতি।