সব জেলায় আয়ুষ গ্রাম

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, এখন প্রতিনিয়ত আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত দিন যাচ্ছে, তত যেন কমে আসছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা যতই উন্নত হোক না কেন, ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে আমাদের কথায় কথায়। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার এক উপায় বের করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। গ্রামের বাসিন্দাদের ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে প্রতি জেলায় আয়ুষ গ্রাম তৈরী করতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যভবন থেকে ১১টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে বাকি জেলাগুলোতেও নির্দেশ পৌঁছবে। কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েতকে আয়ুষ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে, তার বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য ভবনে জানুয়ারির মধ্যেই জানিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের আয়ুর্বেদিক সমিতির অতিরিক্ত অধিকর্তা।

   বাসক, কালমেঘ, নিম, বাবলা, আমলকি, হরিতকি, অর্জুন, হেনা, ব্রাহ্মী, অশ্বগন্ধা, সাতাবরী, ঘৃতকুমারী, সিঙ্কোনা, মার্শমেলো, ক্যালেন্ডুলা, পানিফুটি প্রভৃতি আয়ুর্বেদিক গাছ এখন থেকে দেখতে পাওয়া যাবে বাংলার বেশ কিছু বাছাই করা গ্রামে। এই গ্রামগুলিকে আয়ুষ গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এখন জেলার সদর হাসপাতালে হোমিওপ্যাথ এবং আয়ুর্বেদ-এর আউটডোর রয়েছে। নতুন প্রকল্প অনুযায়ী, একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক, যোগ, ইউনানীর আউটডোর খোলার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি আয়ুষ গ্রামের জন্য সাড়ে ছয় লাখ এবং প্রতিটি মডেল আউটডোরের জন্য ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আয়ুষ চিকিৎসক মহল এই প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ন্যাশনাল আয়ুষ মিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে২০১৮ তে পশ্চিমবঙ্গেও জোয়ার আসতে চলেছে আয়ুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট সম্ভাবনার ব্যাপার বলে মনে করছে আয়ুষ চিকিৎসক মহল। তবে কোন গ্রাম পঞ্চায়েতকে আয়ুষ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে আর কোন এলাকায় মডেল আয়ুষ আউটডোর তৈরী করা হবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের ওপর।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...